জি-২০ সভাপতিত্বের ভারতের প্রধান সমন্বয়ক হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ভারতের নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এলিজাবেথ জোন্স ও ডেপুটি মিনিস্টার কাউন্সিলর ফিল কামিংসের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাতের পর শ্রিংলা বলেছেন, জি-২০ তে যুক্তরাষ্ট্রের অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা জোরালো এবং অর্থবহ থাকবে বলে দেশটি নিশ্চিত করেছে।
এক টুইটে তিনি বলেন, ভারতস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এলিজাবেথ জোন্স এবং ডেপুটি মিন্টিস্টার কাউন্সিলর ফিল কামিংসের সঙ্গে কার্যকর বৈঠক হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিএ উল্লেখ করেছে ভারতের সভাপতিত্বে জি-২০ দারুণ শুরু করেছে এবং তারা সেখানে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা জোরালো এবং অর্থবহ করবে বলে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত অক্টোবরে জোন্স নয়া দিল্লিস্থ যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে অন্তর্বর্তীকালীন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ারর্স হিসেবে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি ইউরোপ ও ইউরেশিয়াবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী সচিব ছিলেন। এ ছাড়া তিনি কাজাখস্তানের অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
গত ১ ডিসেম্বর ভারত জি-২০-এর সভাপতিত্বের দায়িত্ব পায়। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে।
ভারতের জি-২০’র সভাপতিত্বের প্রতি এই সমর্থনের কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেনও এক টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন। কম্বোডিয়ায় অনুষ্ঠিত ১৭তম আসিয়ান সম্মেলনের সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়াশঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিনকেন । পরে উভয় নেতাই তাদের বৈঠকের ব্যাপারে টুইট করেন এবং বিস্তারিত জানান।
টুইটে ব্লিনকেন বলেন, আমি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জয়াশঙ্করের সঙ্গে আসিয়ান সম্মেলনের সাইড লাইনে আলোচনা করেছি। সেখানে আমরা আমাদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর জন্য আলোচনা করেছি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব কমানো নিয়ে আলোচনা করা হয়। জি-২০তে ভারতের সভাপতিত্বে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে।
বিশ্ব শক্তি হিসেবে ভারতের আবির্ভাবকে সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং ক্রমবর্ধমান উন্নয়ন সুরক্ষায় দেশ দুটি কার্যকর সহযোগী।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলেভান বলেছিলেন, আগামী বছর জি-২০ এর প্রেসিডেন্ট হলো ভারত। তাই প্রেসিডেন্ট বাইডেন জি-২০ তে অংশগ্রহণে আগ্রহী হবেন তা নিশ্চিত।
তিনি উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর বাইডেনের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হোয়াইট হাইজে সাক্ষাৎ করেছেন।
তিনি বলেন, দুই নেতা সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছেন এবং ফোনে ও ভিডিও কলে একাধিকবার কথা বলেছেন। এসব কিছু বিবেচনায় নিলে বলা যায় দুই দেশের মধ্যে একটি বাস্তবিক ও কার্যকর সম্পর্ক রয়েছে। যারা বিভিন্ন জটিল ইস্যুতে সাধারণ স্বার্থ খুঁজে এবং যুক্তরাষ্ট্র-ভারত অংশীদারিত্ব জোরদারে দেশ দুটি কাজ করেছে। সূত্র : এএনআই