নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জিতলেই প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলার সুযোগ। যেখানে ফাইনালে ওঠার জন্য একটি বাড়তি সুযোগ থাকছে। তাই শেষ চার নিশ্চিত হলেও দুই দলের জন্যই ম্যাচটি ছিল বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আগুনে এক লড়াইয়ের মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিয়ে দুই দলই ছুটছিল অপরাজেয় পথচলায়। দারুণ ম্যাচের আশায় ছুটির দিনে গ্যালারিতে ভীড় করেছিল হাজার বিশেক দর্শক। কিন্তু মাঠের ক্রিকেটে সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন পড়ল সামান্যই। কুমিল্লার দাপুটে ক্রিকেটের সামনে লড়াই জমাতেই পারল না রংপুর। গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সকে ৭০ রানে উড়িয়ে দুই নম্বরে থেকে বিপিএলের লিগ পর্ব শেষ করল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। প্রথম ৩ ম্যাচ হেরে আসর শুরু করা বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা জিতল বিপিএল রেকর্ড টানা ৯ ম্যাচ! অন্যদিকে টানা ৬টি ম্যাচ জেতার পর হারল রংপুর।
এ জয়ে ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করল কুমিল্লা। সিলেট স্ট্রাইকার্সের পয়েন্টও সমান ১৮। তবে রান রেটে এগিয়ে আছে তারা। আগামীকাল টুর্নামেন্টের প্রথম কোয়ালিফায়ারে কুমিল্লা খেলবে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা সিলেটের বিপক্ষে। যে জিতবে সেই চলে যাবে ফাইনালে। এদিনই এলিমিনেটর ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হবে রংপুর। এখান থেকে জয়ী দল মোকাবেলা করবে প্রথম কোয়ালিফায়ারে হেরে আসা দলটিকে। জিতলে সেই পাবে ফাইনালের টিকিট।
এদিন হোম অব ক্রিকেটে যদিও টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা কুমিল্লার শুরুটা ছিল ভালো। ৪৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন দুই ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও লিটন দাস। রিজওয়ানকে উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহানের ক্যাচে পরিণত করে এ জুটি ভাঙেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। আর তিন নম্বরে নামা সুনীল নারিনকে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ড করে দেন রিপন ম-ল। এরপর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের সঙ্গে ৩৮ রানের জুটি গড়ে রকিবুল হাসানের বলে আউট হন লিটন। পরের ওভারে ফিরে আরেক সেট ব্যাটার ইমরুলকে ফেরান ওমরজাই। তাতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল রংপুর। তবে পঞ্চম উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে খুশদিল শাহর ৭২ রানের জুটিতেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। ৩৩ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এ ওপেনার। ২০ বলে অপরাজিত ৪০ রানের ইনিংস খেলেন খুশদিল। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৩ বলে ৩টি ছক্কায় ৩৪ রান করেন জাকের। রিজওয়ানের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রান। রংপুরের পক্ষে ৩৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান ওমরজাই।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় রংপুরের সূচনাটাই ছিল বিবর্ণ। কুমিল্লার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। গড়ে ওঠেনি বলার মতো তেমন কোনো জুটি। এমনকি কোনো ব্যাটারও দায়িত্ব নিয়ে লড়াই করতে পারেননি। ঘূর্ণির মায়াজাল বিছিয়ে টপ অর্ডার ভাঙেন তানভির ইসলাম ও সুনীল নারিন। এরপর মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। তিন ওভার বল করে ১৮ রান খরচ করে এ পেসার তুলে নেন তিনটি উইকেট। এছাড়া তানভির ও নারিনের শিকার দুটি করে। রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রানের ইনিংস খেলেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। ২২ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া রনি তালুকদার, শামিম পাটোয়ারি, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, রকিবুল হাসানরা দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ফলে বড় হার মানতে হয় দলটিকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।