নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কেতাদুরস্ত পোষাক ছেড়ে আতহার আলী খানের পাঞ্জাবির দুই বাহুতে সাদা কাপড়ে খেলা বাংলা বর্ণমালা। কার্টলি অ্যামব্রোসের পাঞ্জাবি ছিল পুরোপুরি কালো। অন্য চার ধারাভাষ্যকার শামীম আশরাফ চৌধুরী, রোশান অ্যাবেসিংহে, সমন্বয় ঘোষ ও হিলটন ডিওন অ্যাকেরমানের পরনেও ছিল কালো পাঞ্জাবি। বাদ যাননি পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক আমির সোহেলও। তাদের কালো পাঞ্জাবিতে শোভা পাচ্ছিল ছোপ ছোপ ছাইরঙা বাংলা বর্ণমালার ছটা। আর বিপিএলের সঞ্চালক ও ভারতের অভিনেত্রী পামেলা সিংয়ের পরনেও ছিল কালো পাড়ের সাদা শাড়ি।
হঠাৎ এই পরিবর্তানের হেতুটি আগের দিনই জানিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। চলছে ভাষার মাস। এ উপলক্ষে বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ দিনে বিশেষ পরিকল্পনা রেখেছিল বিসিবি। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই এদিন বিপিএলের ধারাভাষ্যকারেরা পরেন বাংলা বর্ণমালা লেখা পাঞ্জাবি। সাধারণত ক্রিকেট ধারাভাষ্যের ভাষা ইংরেজি। কিন্তু এদিন বাংলায়ও কিছু ধারাভাষ্য দেন বিপিএলের ধারাভাষ্যকারেরা। স্থানীয়দের তো বটেই, বিদেশি ধারাভাষ্যকারদেরও বাংলায় কথা বলতে শোনা যায়।
খেলার ফাঁকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ইতিহাসও শোনা গেছে ধারাভাষ্যে। এক দিনের জন্য বিপিএলের দুটি ম্যাচের ম্যাচ আগে ও পরে সাক্ষাৎকার হয় বাংলায়। খেলোয়াড়েরা পরেন বাংলা বর্ণমালা লেখা আর্মব্যান্ড। মাঠে থাকা এলইডি বড় পর্দায় ভাষার মাসের কিছু উক্তিও প্রদর্শিত হয়। পরিকল্পিতভাবেই সন্ধ্যার ম্যাচের শুরুর প্রাক্কালে গোটা স্টেডিয়াম হয়ে যায় বিদ্যুৎহীন। তখন গ্যালারিতে থাকা দর্শকদের সাহিত করা হয় ভাষাশহীদদের স্মরণে নিজেদের মুঠোফোনের লাইট জ¦ালিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে। কাজটি বেশ আনন্দ নিয়েই করেছে তারা। সঙ্গে অনেকের কষ্ঠে শোনা গেছে সাংবাদিক ও লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর লেখা, ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো... একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কী ভুলিতে পারি’ গানটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।