Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পণ্যের দাম কমাবে ইইউ কোম্পানিগুলো

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

জ্বালানিসহ পণ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামাল ক্রয়ে ব্যয় বাড়ায় গত বছর পণ্যের দাম বাড়িয়েছিল ইউরোপের বিভিন্ন কোম্পানি। বর্তমানে এসব খাতে ব্যয় কমায় পণ্যের দাম কমানোর বিষয়ে ভাবছে কোম্পানিগুলো। ফলে ভোক্তাদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্স। পণ্যের দাম কমানোর বিষয়টি এ অঞ্চলে মূল্যস্ফীতির সর্বোচ্চ অবস্থাকে নির্দেশ করছে। পাশাপাশি অর্থনীতি এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। এটি পুঁজিবাজারকে প্রভাবিত করেছে। তবে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত এখনো সেভাবে বিস্তৃত নয়। কেননা অনেক প্রতিষ্ঠান এখনো কর্মীদের বেতন দেয়ার পাশাপাশি ঋণের অর্থ পরিশোধে হিমশিম খাচ্ছে। এছাড়া পণ্যদ্রব্য ও খাদ্য উৎপাদকদের ব্যয় এখনো বেশি। সম্প্রতি প্যাকেজিং জায়ান্ট স্মারফিট কাপ্পা জানায়, গত বছর থেকে কয়েক মাস ধরে প্রতিষ্ঠানটি তাদের পরিষেবা ব্যয় সীমিত রেখেছে। কেননা মূল্যস্ফীতির যে প্রভাব ছিল তা ধীরে ধীরে কমছে। রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মারফিটের প্রধান নির্বাহী টনি জানান, গ্রাহকদের সঙ্গে চুক্তির শর্তাবলির কারণে চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধে পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমবে। যদি এতে কোনো পরিবর্তন হয় তাহলে তা উৎপাদন খরচের কারণে প্রভাবিত হবে। টনি বলেন, ‘জ্বালানি ও ওয়েস্ট পেপারের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।তবে আগামী ছয় মাস বা তার বেশি সময় আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করব। যদি এগুলোয় কোনো পরিবর্তন আসে, তাহলে আগামী বছর গ্রাহকরাও পরিবর্তন দেখতে পারবে। সেজন্য অপেক্ষা করতে হবে।’ ইতালির খুচরা পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওভিএস গত সপ্তাহে জানায়, এটি পোশাকের দাম স্থিতিশীল রাখার বা কমানোর বিষয়ে ভাবছে। কেননা মূল্যস্ফীতির কারণে যে চাপ ছিল তা এখন অনেকটাই কমতে শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি চলতি বছর ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানির দাম ২০ শতাংশ কমার বিষয়ে আশাবাদী।পণ্যের দাম কমলে বাজারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বাড়বে। কেননা অর্থনৈতিক মন্দা ও মূল্যস্ফীতির কারণে গ্রাহকদের চাহিদা ও ব্যয় অনেক কমেছে। গার্নরি জানায়, চীনের সীমান্ত খুলে দেয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের বিষয়টি পণ্যদ্রব্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী রাখতে পারে। তা সত্ত্বেও ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরুর আগে গ্যাস ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ দাম নিচে নেমে গেছে। বৈশ্বিক মন্দা ও কভিড-১৯ মহামারীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য ভোক্তা দেশের আমদানি অনেক কমেছে। ফলে পণ্য সরবরাহে যে ব্যয় তাও কমেছে। স্মারফিট জানায়, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে প্রতি টন টেস্টলাইনার পেপারের দাম ১০০ ইউরো বেড়েছে। কিন্তু জুনে প্রতি টনের মূল্য ১৬০ ইউরো কমে যায়। এক সময়ে ক্রাফ্টলাইনারের মূল্য টনপ্রতি ৬০ ইউরো বাড়লেও পরবর্তী সময়ে ১২০ ইউরো কমে যায়। উচ্চ বেতনভাতা ও ঋণের কারণে অনেক প্রতিষ্ঠান দাম কমানোর উদ্যোগ হয়তো কার্যকর করবে না বলেও জানানো হয়। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ