Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

কুমিল্লা-রংপুরের সেরা দুইয়ের লড়াই

স্পোর্টষ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেছে অনেক আগেই। এখন লড়াইটা সেরা দুইয়ের মধ্যে থাকার। আর তা নিশ্চিত করতে হলে জয়ের কোনো বিকল্পই ছিল না রংপুর রাইডার্সের। দলটির হয়ে শেষ দিকের ম্যাচগুলি খেলতে আগের দিন রাতেই বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। এই আফগান পরদিন নেমে গেছেন মাঠে। এমনিতে ওপেনার হলেও শোয়েব মালিকের শূন্যতা পূরণেই হয়তো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে পাঁচ নম্বরে নেমেছেন তিনি। সেখানেই রেখেছেন সামর্থ্যরে ছাপ। দলকে এনে দিয়েছেন অনায়াস জয়। গতপরশু রাতে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগেই বিদায় নিশ্চিত হওয়া চট্টগ্রামকে তাদের শেষ ম্যাচে ৭ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। গুরবাজের ঝলকে ১৩৩ রানের লক্ষ্য ২৪ বল বাকি থাকতেই ছুঁয়ে ফেলে ৩ উইকেট হারানো নুরুল হাসান সোহানের দল।
এ জয়ে সেরা দুইয়ে থাকার আশা ভালোভাবেই টিকে রইল রংপুরের। ১১ ম্যাচে টানা ৬ষ্ঠ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠে গেছে রংপুর। একই সঙ্গে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত হলো ফরচুন বরিশালের। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে সেরা দুইয়ে থাকা নিশ্চিত করেছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। আজ দুপুরে কুমিল্লা ভিক্টরিয়ান্সের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে রংপুর। এই ম্যাচে জয়ী দল পাবে প্রথম কোয়ালিফায়ারের দ্বিতীয় টিকেট। সে লক্ষ্যে এরই মধ্যে আরেক আফগান তরুণ তুর্কী নাভিন-উল-হককে দলে ভিড়িয়েছে রংপুর। গতকাল দুপুরেই ‘জয়ের লড়াই’ স্লোগান দিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছবি পোস্ট করেছেন ডানহাতি এই পেস অলরাউন্ডার।
হোম অব ক্রিকেটে এদিন টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চট্টগ্রাম। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। অধিনায়ক জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তৌফিক খানের ৩৮ রানের জুটিটি ছিল ইনিংসে সর্বোচ্চ। দলের পক্ষেও সর্বোচ্চ ৩৩ রানের ইনিংস খেলেন আগের ম্যাচের সেরা জিয়া। ২৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। ২৬ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ রান করেন তৌফিক। মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাট থেকে আসে অপরাজিত ১৭ রান। রংপুরের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হারিস রউফ ও রাকিবুল হাসান।
ছোট্ট লক্ষ্য তাড়ায় শুরু থেকেই দাপুটে খেলতে থাকে রংপুর। দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের জুটিতে আসে ৩৮ রান। নাঈমকে বোল্ড করে ওপেনিং জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান। স্কোরবোর্ডে আর ২০ রান যোগ হতে আরেক ওপেনার রনিকে কার্টিস ক্যাম্ফারের ক্যাচে পরিণত করেন জিয়া। এরপর উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন গুরবাজ। অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়ে নিহাদুজ্জামানের বলে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন এ আফগানী। এরপর বাকি কাজ টম কোহলার-ক্যাডমোরকে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ২৯ রানের জুটি গড়ে শেষ করেন সোহান।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন গুরবাজ। ৩০ বলের ইনিংসটি ৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান এ ব্যাটার। ১৫ বলে এক চার ও ২ ছক্কায় ২০ রানে অপরাজিত থাকেন কোহলার-ক্যাডমোর। এছাড়া রনি ২৮ ও নাঈম করেন ২০ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ২৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান নিহাদুজ্জামান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ