Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মরিয়া মার্সেইয়ে মেসি-নেইমারদের বিদায়!

ফাইনালে উঠেও নাখোশ আনচেলত্তি

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

ক্লাব বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালের লড়াইয়ে পরশুরাতে ইউরোপ সেরা রিয়াল মাদ্রিদ নেমেছিল আল আহলির বিপক্ষে। ম্যাচের ৯১ মিনিট পর্যন্ত লস ব্ল্যাঙ্কসরা এগিয়ে ছিল ২-১ ব্যবধানে। যোগ করা সময়ে আরও দুই গোল করে রিয়াল ম্যাচটা জিতে নেয় ৪-১ ব্যবধানে। ফাইনাল স্কোরলাইন দেখলে মনে হবে কার্লো আনচেলত্তির দল রাজার মতই জিতেছে। আদতে তা ধরা দেয়নি খুব সহজে। প্রতিপক্ষকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে না দিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বিপদ জিইয়ে রাখায় মোটেই খুশি নন রিয়ালের ইতালিয়ান বস।
আগেই জানা গিয়েছিল যে, চোটের কারণে করিম বেনজেমা, থিবো কর্তোয়া, এদের মিলিতাওসহ নিয়মিত একাদশের বেশ কজনকে ছাড়া খেলতে নামবে রিয়াল। চোট জর্জরিত রিয়ালের হয়ে প্রথমার্ধের শেষ দিকে গোল করেন ভিনিসিউস জুনিয়র আর বিরতির পরপরই ফেদে ভালভেরদে। এরপরই একটু গা ছাড়া দেয় আনচেলত্তির শিষ্যরা। ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান কমায় আল আহলি আর ৭৯তম মিনিটে সমতা ফেরানোর খুব কাছাকাছিও গিয়েও ব্যর্থ হয় মিশরের ক্লাবটি। এসবের মাঝে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আসে নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে লুকা মদ্রিচ পেনাল্টি মিস। শেষ পর্যন্ত রদ্রিগো ও সার্জিও আরিবাসের গোলে বড় জয়েই রিয়াল পৌঁছে যায় ফাইনালে।
এগিয়ে যাওয়ার পর রিয়াল যেভাবে খেলেছে, তা মোটেই পছন্দ হয়নি রিয়াল বসের। এই ব্যাপারে আনচেলত্তি জানান, ‘২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা ভেবেছিলাম যে খেলা শেষ এবং একটু বেশিই ড্রিবল করতে শুরু করেছিলাম। আমাদের ছন্দ নষ্ট হয়েছে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছি। আমরা ভেবেছিলাম যে ম্যাচ জিতেই গেছি, কিন্তু ফুটবল এভাবে হয় না। আমরা গা ছেড়ে দিয়েছিলাম। এটা আগুন নিয়ে খেলার মতো। আমাদেরকে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। এই টুর্নামেন্টে আমাদের পাওয়ার খুব বেশি কিছু নেই, হারানোর আছে অনেক কিছু।’ বাংলাদেশ সময় আগামীকাল রাত একটায় সাউদী ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে শিরোপা লড়াইয়ে মাঠে নামবে রিয়াল।
একই রাতে ফরাসি কাপের শেষ ষোলর ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মার্সেইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল পিএসজি। এমবাপেহীন প্যারিসের জায়ান্টরা ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ হেরে ছিটকে পড়ে শিরোপার দৌড় থেকে। ২০১১ সালের নভেম্বরের পর ঘরের মাঠে পিএসজির বিপক্ষে মার্সেইয়ের এটাই প্রথম জয়। অন্যদিকে দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে বিরক্ত পিএসজি অধিনায়ক মার্কিনিয়োস জানালেন সুযোগ নষ্ট করাতেই এই হাল তাদের। আলেক্সিস সানচেসের সফল স্পট-কিকে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন সার্জিও রামোস। দ্বিতীয়ার্ধে রুসলান মালিনোভস্কির গোলের পর মরিয়া চেষ্টা করেও হার এড়াতে পারেনি তারা। তাতে করে ১৯৮৯ সালের পর মার্সেইয়ের সামনে প্রথমবার ফরাসি কাপ জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে।
ম্যাচ শেষে মার্কিনিয়োস জানান, ‘আমরা অনেক সুযোগ হাতছাড়া করেছি। যদি এই মৌসুমে ভালো কিছু করতে হয় তাহলে আমাদের অনেক উন্নতি করতে হবে। একটি শিরোপার দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছি, এটা বেদনাদায়ক, আমি বিরক্ত। জানতাম যে, প্রতিপক্ষ অনেক চাপে রাখবে। আমরাও কিছু ভুল করেছি, যার মূল্য আমাদের দিতে হয়েছে। আমাদের কোথায় উন্নতি করতে হবে, সেটা আমরা জানি। এই হার বেদনাদায়ক, কারণ কাপ ম্যাচটা ছিল আমাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে।’
অন্যদিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড মাঠে নেমেছিল লিডস ইউনাইটেডের বিপক্ষে। ম্যাচের ৬২তম মিনিটে পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা রেড ডেভিলসরা শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ড্র করতে পারে বদলি ইংলিশ উইঙ্গার জর্ডান সানচোর বদৌলতে। ম্যানইউর হয়ে অন্য গোলটি করেন মার্কাস র‌্যাশফোর্ড। ২২ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ম্যানইউ আর ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানসিটি, তবে এক ম্যাচ কম খেলেছে তারা। ৫০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল।
সানচো শারীরিক ক্লান্তি আর মানসিক অবসাদে ফুটবল থেকে দূরে ছিলেন তিনি তিন মাসের বেশি সময়। সেই হতাশার সময়টা পেরিয়ে মাঠে ফেরার পর মাত্র দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল এটি। তাতে নায়কোচিত পারফরম্যান্স করায় উচ্ছ্বসিত কোচ টেন হাগ জানান, ‘আমি সত্যিই খুব খুশি যে সে সঠিক পথেই আছে। আশা করি, সামনেও এই মানষিকতা সে ধরে রাখতে পারবে এবং আমি নিশ্চিত যে এই ম্যাচের পারফরম্যান্স তাকে প্রাণশক্তি জোগাবে। আর ম্যাচের ব্যাপারে আমার অনুভূতি মিশ্র। ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ড্র করতে পারার পর হতাশ হওয়াটা হয়তো ঠিক নয়। তবে এতগুলো সুযোগ তৈরি করার পর ম্যাচ জেতা উচিৎ।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ