নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাস দেড়েক আগে মিরপুরে ১৪৫ রান তাড়া করতে নেমে হারতে বসেছিল ভারত। গামিনি ডি সিলভার বানানো সেই উইকেট নিয়ে কম সমালোচনা করেনি ভারতীয় গণমাধ্যম। তবে গতকাল থেকে শুরু হওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের প্রথম ম্যাচে নাগপুরের উইকেটের যে হাল দেখা গেল তাতে মিরপুরের উইকেটকে আর একচেটিয়া দোষারোপ করার আর উপায় নেই। উইকেট যে মন্থর আর নিচু বাউন্সের হবে সেটা অনুমান করতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তবে অজি ব্যাটাররা যেভাবে খাবি খেল তা দেখে চোখ ছানাবড়া। তবে সফরকারী ব্যাটসম্যানদেকে বনের (স্পিন) না মনের বাঘ- কোনটা খেয়েছে, সেটিও বিশাল প্রশ্ন। কেননা, অস্ট্রেলিয়া যেখানে ১৭৭ রানে অলআউট সেখানে জবাব দিতে নেমে ২৪ ওভার খেলা ভারত এক উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে ৭৭ রানে।
ক্রমেই ব্যাটিংয়ের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠবে, এমন উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার টস জয়কে মনে হচ্ছিল দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। তবে চমক জাগিয়ে প্রথম দুই আঘাত করেন দুই পেসার। মোহাম্মদ সিরাজ ও মোহাম্মদ শামির ফেরান দুই ওপেনার উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নারকে। তবে স্টিভেন স্মিথ ও লাবুশেন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। দুই সেরা ব্যাটসম্যান মারনাস লাবুশেন আর স্টিভ স্মিথ যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, মনে হয়েছে, অস্ট্রেলিয়াও আছে ম্যাচে। এই দুজনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার বাকিদের ব্যাটিংয়ের মানের পার্থক্য চোখে লেগেছে বেশ!
জাদেজার আগের কয়েক বলের গতি আর লেংথের বিভ্রান্তির পর লাবুশেন ৪৯ রান করে স্টাম্পড দারুণ টার্নে পরাস্ত হয়ে। ৩৭ রান করা স্মিথ পরাস্ত টার্নের অভাবের কারণে। বল ঘুরবে ভেবেছিলেন, কিন্তু জাদেজা সে বলটা ফেললেন সোজা, তাই বোল্ড হলেন স্মিথ। এর বাইরে অস্ট্রেলিয়ার দুই অঙ্ক পেরোনো ব্যাটসম্যান আর দুজন। পিটার হ্যান্ডসকম্ব করেছেন ৩১ রান ও অ্যালেক্স ক্যারি দ্রুতগতির ৩৬ রান। এর মধ্যে অজি কিপার-ব্যাটার ক্যারিকে ফিরিয়ে দিনের ব্যক্তিগত প্রথম উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন, যা তার ৮৯ টেস্টের ক্যারিয়ারের ৪৫০তম। ভারতীয়দের মধ্যে তার চেয়ে দ্রুততর সময়ে এই মাইলফলক কেউ পেরোতে পারেননি। ভারত ছাপিয়ে সব দল মিলিয়েই টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে দ্রুততম ৪৫০ উইকেটের দেখা পেয়েছেন শুধু একজন। শ্রীলঙ্কার মুত্তিয়া মুরালিধরন এই মাইলফলকে পৌঁছেছিলেন ৮০ ম্যাচে। আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজা উইকেটের সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি গতি আর লেংথ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের পুতুল বানিয়ে ছেড়েছেন। জাদেজা টেস্টে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন ১১তম বার। আর অশ্বিনের শিকার ৩ উইকেট।
চা বিরতির কিছুক্ষণ পর অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে দিয়ে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের হয়ে লোকেশ রাহুল ২০ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন। তবে কদিন আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরির ফর্ম টেস্টেও টেনে এনেছেন রোহিত শর্মা, ৬৯ বলে ৯ চার আর ১ ছক্কায় দিন শেষে ভারত অধিনায়ক অপরাজিত ৫৬ রানে। তার সঙ্গী নাইটওয়াচম্যান অশ্বিন।
এই সিরিজে চার টেস্টের তিনটিতে যদি ভারত জিততে পারে, তা হলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে তাদের। এই সুযোগ কি কোনভাবেই হাতছাড়া করতে চাইবে বিসিসিআই? মোটেই না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।