গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আদর্শনিষ্ঠ সমাজ প্রতিষ্ঠায় ক্যাডেট আন্দোলন বাংলাদেশের ঘরে ঘরে বিস্তৃত করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীরা বিএনসিসির মতো সুশৃঙ্খল সংস্থায় কাজ করেন, তারা মূলত দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে উন্নত সমাজ গড়বার জন্য কাজ করেন। এ দেশের কাঁদা, মাটি, পানি এবং বাতাসের সঙ্গে আমাদের যে সম্পৃক্ততা- সেটির সঙ্গে নিবিড় বন্ধন রেখে নিজেদেরকে একেক জন অনন্য কাডেট হিসেবে পরিণত করার জন্য আপনারা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। এই সম্পৃক্ততা তরুণ বয়সে আপনাদের মধ্যে একসঙ্গে তীব্র প্রখরতা, বুদ্ধিদীপ্ত অবস্থা এবং সবার সঙ্গে মিশে থাকার এক অপূর্ব সুযোগ তৈরি করে দেয়’। গত বুধবার সাভারের বাইপাইলে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি) একাডেমিতে বিএনসিসির রমনা রেজিমেন্টের রেজিমেন্টাল ক্যাম্পিং এ তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাডেটদের স্মার্ট সিটিজেন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বিএনসিসিতে আপনারা কর্মনিষ্ঠ, ত্যাগ, বাস্তবতা, অন্যের জন্য জীবন গড়া, সর্বোপরি দেশমাতৃকাকে ভালোবাসার যে প্রশিক্ষণ পান; সেটির মাধ্যমে আগামী দিনের চমৎকার সমাজ তৈরির অভিনব কৌশল রপ্ত করতে পারেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একে অন্যের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বন্ধন তৈরি হয়। টিম ওয়ার্ক তৈরি হয়। আগামী দিনে পেশাদারিত্ব তৈরিতে এটি নিশ্চয়ই কাজে লাগবে। সবচেয়ে বড় কথা- মানবিক মানুষ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ আদর্শ মানুষ হওয়ার যে প্রশিক্ষণ আপনারা গ্রহণ করেন, তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ অনেক বেশি উপকৃত হবে।’
ভিসি ড. মশিউর রহমান আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবসময় একটি আদর্শ ও অগ্রসর বাংলাদেশ তৈরি করার জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেন। তিনি ভোট এবং ভাতের অধিকার নিশ্চিত করার যে আন্দোলন সেটিতে সফল হয়েছেন। এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছেন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের অভিযাত্রায়। অতপর নির্মাণ করেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এখন তাঁর নতুন স্বপ্ন জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য স্মার্ট সিটিজেন প্রয়োজন হবে, সেকথা তিনি ইতোমধ্যে উল্লেখ করেছেন। প্রতিটি ক্যাডেট আগামী দিনে স্মার্ট সিটিজেনে পরিণত হবে, এ আমার দৃঢ় বিশ^াস। যে জাতীয় পাতাকার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা, যে জাতীয় সংগীতের প্রতি আমাদের মমত্ববোধ, যে শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি আমাদের বন্ধন- এসবের পরিচর্যার মধ্য দিয়ে সমাজকে তৈরির যে অভিপ্রায়, সেই পরিবর্তনের বিপ্লবে সফল হতে হবে। দেশের প্রতিটি ক্যাডেট বিশে^ দাঁড়িয়ে গৌরবের সঙ্গে বলবেন তিনি বাঙালি। এই পরিচয় দিতে গৌরবান্বিত হবেন। আসুন আপনাদের সকলকে নিয়ে সোনার বাংলাদেশ তৈরি করি। নিজেদেরকে প্রস্তুতি করার এই আন্দোলনকে সর্বত্র ছড়িয়ে দেই। ক্যাডেট আন্দোলন বাংলাদেশে বিস্তৃত হোক প্রতিটি ঘরে ঘরে, এটি হওয়া আবশ্যক। আদর্শনিষ্ঠ সমাজ গড়ার বিপ্লবটি এগিয়ে চলুক।’
অনুষ্ঠানে ভিসি বিএনসিসির একটি চৌকস দলের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। এসময় ভিসিকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনসিসির রমনা রেজিমেন্টের রেজিমেন্ট কমান্ডার লে. কর্নেল রাশেদ মোহাম্মদ আনিসুল হক-পিবিজিএম (বার), বিএনসিসি হেড কোয়ার্টার্স এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) লে, কর্নেল এ কে এম ইকবাল হোসাইন, মেজর সৈয়দ ফজলে হোসেন প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।