Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ষাটের বেশি দেশ থেকে সহায়তা পাচ্ছে তুরস্ক

উদ্ধার কাজে ঘাটতির স্বীকার এরদোগানের

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে ৬০টির বেশি দেশ থেকে সহায়তা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েপ এরদোগান। খবর ডেইলি সাবাহ। বুধবার হাতায় প্রদেশে সাংবাদিকদের এ কথা জানান এরদোগান। গত ৬ ফেব্রুয়ারি ভূমিকম্পে প্রদেশটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দেশই তুর্কিদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা পাঠাচ্ছে। প্রেসিডেন্ট বলেন, আজারবাইজান, ইসরায়েল, সউদী আরব, কাতার, কুয়েতসহ অনেক দেশ সহায়তা করার কথা জানিয়েছে। তুরস্কে ভূমিকম্প হওয়ার পরপরই সহায়তা পাঠায় আজারবাইজান। গত সোমবার জোড়া ভূমিকম্পে তুরস্কের ১০টি প্রদেশে বিধ্বস্ত হয়। এ পরিস্থিতিতে সংহতি ও ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়াদের ঘরবাড়ি পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এরদোগান সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি সংহতি ও ঐক্যের সময়। তুর্কি রাষ্ট্র ও জাতি হিসেবে আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই সংকট কাটিয়ে উঠব।’ উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তুরস্কের ভূমিকম্প-বিধ্বস্ত অঞ্চলে উদ্ধারকারী দল মোতায়েন করেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতাসহ নানা বিষয়ে সরকারি কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান বুধবার ‘ঘাটতি’ থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এদিকে সিরিয়া ও তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, সিরিয়ায় একই পরিবারের ২৫ জন মারা গেছেন। ভূমিকম্পে ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের নিচে অজ্ঞাত সংখ্যক লোক আটকা পড়ে আছে। হিমশীতল আবওহায়ার কারণে ত্রাণ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া জীবিতরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্যে হাহাকার করছে। কিছু ক্ষেত্রে স্বজনরা তাদের প্রিয়জনকে উদ্ধারে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছে। তুরস্কের হাতেইয়ে একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক বলেছেন, আমার বোন, ভগ্নিপতি ও তাদের সন্তান ধ্বংসস্তুপের নিচে পড়ে আছে। আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। আমরা তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা কোনো সাড়াই দিচ্ছে না। আমরা সাহায্যের আশায় আছি। এখন ৪৮ ঘণ্টা হয়ে গেছে। এদিকে ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারস এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন এরদোগান। তিনি সমস্যার কথা অপকটে স্বীকার করেছেন। বলেছেন, অবশ্যই, ঘাটতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট। এ ধরনের দুর্যোগের জন্যে তো প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়। কর্মকর্তা ও হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, সোমবারের সাত দশমিক আট মাত্রার এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ১২ হাজার ৩১৯ জন এবং সিরিয়ায় দুই হাজার ৯৯২ জন মারা গেছে। এ সংখ্যা দ্রুতই বাড়বে বলে বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন। এদিকে সিরিয়া ও তুরস্কের জন্যে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সরবরাহের লক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রাসেলসে মার্চে দাতা সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে। ইইউ প্রধান উরসালা ভন দার লিয়েন টুইটারে বলেছেন, আমরা এখন জীবন বাঁচাতে সময়ের বিরুদ্ধে একসাথে ছুটে যাচ্ছি। এ ধরনের ট্রাজেডিতে কাউকে এক ঘরে করে রাখা উচিত নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সময়ে এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে ৩৩ হাজার লোক মারা গিয়েছিল। আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ