Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

চীন যদি সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলে তবে আমরা দেশকে রক্ষা করব : জো

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয় স্টেট অব দি ইউনিয়ন ভাষণ দেন। ভাষণের বিষয়বস্তুর সঙ্গে ভাষণের প্রেক্ষাপটও ছিল সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আগামী নির্বাচনে আরেক দফা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রক্রিয়া শুরু করার মুহূর্তে এমন ভাষণ দিলেন। বাইডেন বার্ষিক ভাষণটি দিয়েছেন পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশে, তবে মূল লক্ষ্য ছিল দেশটির জনগণ। বাইডেন জানান, আমেরিকা প্রথমে এবং পররাষ্ট্রনীতি শেষে। এর অর্থ হলো, পররাষ্ট্রনীতির আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থই দেখবে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা নজরদারি বেলুনের খবরটি বেশ বড় একটি ঘটনা ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওই বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি। ভাষণের শেষে বিষয়টি নিয়ে সামান্য কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা গত সপ্তাহে পরিষ্কার করে দিয়েছি, চীন যদি আমাদের সার্বভৌমত্বকে হুমকিতে ফেলে, তবে আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করব।’ পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে তিনি যা বলেছেন তার বেশির ভাগই ছিল গত বছরের। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনে রুশ সামরিক হামলা একটি বড় ঘটনা। বাইডেন কিন্তু এই বিষয়টি নিয়েও কম কথা বলেছেন। প্রেসিডেন্ট বাইডেন গ্যালারিতে বসা ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতকে সম্ভাষণ জানান। ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য মিত্র দেশগুলাকে অভিনন্দন জানান। তবে নতুন কোনো সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেননি। এদিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে হাজার হাজর মানুষ মারা গেছে। এই মানবিক বিপর্যয় নিয়েও কোনো কথা তিনি বলেননি। তার ভাষণের প্রধান বিষয় ছিল অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন বিষয়। জরিপে দেখা যায়, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিই মার্কিন জনগণের কাছে এক নম্বর অগ্রাধিকার। বেশির ভাগ মানুষ এখন মনে করছে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ। পরিস্থিতি ভালো হতে শুরু করলেও মানুষ বুঝতে পারছে না। তবে বাইডেন বারবার চেষ্টা করেছেন মানুষকে বোঝাতে যে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কারণ এটি তাকে আগামী নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। তিনি বেকারত্ব কমার কথা বলেছেন। মুদ্রাস্ফীতি এবং জ্বালানির দাম কমছে বলেও উল্লেখ করেন। এই দুটি বিষয়ের কারণে গত ১৮ মাস ধরে তার জনসমর্থন কমেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন রাজনৈতিক পরিবেশে কাজ শেষ করতে চাইলে তার রিপাবলিকানদের সাহায্য দরকার পড়বে। তাই ভাষণে বিরোধী রিপাবলিকানদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, অবকাঠামো নির্মাণে এবং মাইক্রোচিপ উৎপাদনের বিনিয়োগের প্রশ্নে বা ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য নিয়ে অথবা সমকামী বিবাহে রাষ্ট্রীয় সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে দুই দলের মধ্যে সহযোগিতার কথা তোলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রায়ই শুনি রিপাবলিকান এবং ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে একত্রে কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু গত দুই বছরে আমরা প্রমাণ করেছি এ কথা সত্যি নয়, যারা এমনটা বলেন তারা ভুল বলেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে এখন প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ রিপাবলিকানদের হাতে থাকার মধ্যেই বাইডেন তার প্রেসিডেন্সির দুই বছরে দেশের কিছু কিছু ক্ষেত্রে দ্বিদলীয় অগ্রগতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন ভাষণে। তিনি বলেন, ‘আজকের এই নতুন কংগ্রেসে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে না পারার কোনো কারণ নেই।’ বাইডেন তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে রিপাবলিকানদেরকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘চলুন কাজ শেষ করি।’ তিনি বলেন, ‘আমার রিপাবলিকান বন্ধুদের বলতে চাই, আমরা যদি বিগত কংগ্রেসে একসঙ্গে কাজ করতে পারি, তাহলে এই নতুন কংগ্রেসেও একসঙ্গে কাজ করতে না পারা এবং গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে একমত না হতে পারার কোনো কারণ নেই।’ এই সময় রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য মেজরি টেইলর গ্রিন চিৎকার করে বলছেন প্রেসিডেন্ট একজন ‘মিথ্যাবাদী’। সরকারি ঋণের সীমা বাড়ানোর বিষয়ে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কংগ্রেসে রিপাবলিকান পার্টি টানা-হেঁচড়া চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রেসিডেন্ট তার ভাষণে আপসের বিন্দুমাত্র ইঙ্গিত দেননি। উল্টো রিপাবলিকানদের খোঁচা দিয়েছেন। বিবিসি বাংলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ