মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আবারো সুদহার বাড়িয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু বৃদ্ধির গতি ছিল শ্লথ। তবে কোর মূল্যস্ফীতি যদি ঊর্ধ্বমুখী থাকে তাহলে ফের আগ্রাসী নীতি গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছে ব্যাংকটি। খবর দ্য হিন্দু। রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই) ২৫ বেসিস পয়েন্টে রেপো সুদহার (তফসিলি ব্যাংকগুলো যে সুদে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়) বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। আরবিআইয়ের মুদ্রানীতি কমিটি (এমপিসি) সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন মুদ্রানীতির আওতায় এখন থেকে স্থায়ী আমানত সুবিধার (এসডিএফ) হার সংশোধিত হয়ে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশে। পাশাপাশি প্রান্তিক স্থায়ী সুবিধার (এমএসএফ) হার এবং ব্যাংক হার হবে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মুদ্রানীতি কমিটি মনে করছে, রেপো হার বৃদ্ধির পদক্ষেপটি ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি যাতে ব্যাংক নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করবে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ৩৫ বেসিস পয়েন্টে সুদহার বাড়িয়েছিল ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া মে মাসে ৪০ বেসিস পয়েন্টে এবং জুন, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে ৫০ বেসিস পয়েন্টে সুদহার বাড়ানো হয়েছিল। আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস তার আর্থিক নীতিবিষয়ক বিবৃতিতে বলেন, ‘এমপিসি মত দিয়েছে সুদহার বৃদ্ধির পদক্ষেপটি মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য প্রয়োজনীয় সম্ভাবনাকেও শক্তিশালী করবে। এমপিসি নীতিগতভাবে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এ সময় তিনি আরো যোগ করেন, পরিস্থিতি যেন একটি সহনশীল স্তরের মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করতে এমপিসি ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির দিকে দৃঢ় নজরদারি বজায় রাখবে। বিভিন্ন বিষয়গুলোকে বিবেচনায় রেখে ২০২৩-২৪ সালের জন্য ভারতের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ, দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৬ দশমিক ২, তৃতীয় প্রান্তিকে ৬ ও চতুর্থ প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট বিষয় বিবেচনায় রেখে ভারতে অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি গড়ে ৯৫ ডলারে পৌঁছতে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে শক্তিকান্ত দাস বলেন, ‘২০২২-২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।’ ২০২৩-২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে ভোক্তা মূল্য সূচক দাঁড়াতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রান্তিকে তা পৌঁছতে পারে যথাক্রমে ৫ দশমিক ৪ এবং চতুর্থ প্রান্তিকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে। দ্য হিন্দু।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।