ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছিলেন পিএসজি অন্যতম সেরা খেলোয়াড় নেইমার। ফিরেছিলেন রক্ষণের প্রাণ রামোসও।মেসি নেমেছিলেন তার সেই ট্রেডমার্ক '১০ নম্বর জার্সি' গায়ে।তবে এত সব উপলক্ষের ম্যাচটি পিএসজির ভক্তদের কাছে শেষ হল হারের তিক্ত স্মৃতিতে।আজ ফরাসি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মার্সেইর কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে ফ্রেঞ্চ জায়ান্ট পিএসজি।
নিজেদের ঘরের মাঠে বুধবার রাতে মেসি-নেইমারদের বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় পেয়েছে মার্সেই।চোটের জন্য এই লড়াইয়ে ছিলেন না কিলিয়ান এমবাপে। আক্রমণভাগে ফরাসি কাপের চলতির আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার শুন্যতা ভালোভাবেই ভুগিয়েছে পিএসজিকে।
ঘরের মাঠে শুরু থেকে আধিপত্য দেখানো মার্সেই ম্যাচের ৩১তম মিনিটে লিড নেয়।সফল স্পটকিকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন সানচেস। গোল হজমের পর আক্রমণের ধার বাড়ায় ক্রিস্তেফ গলতিয়ের দল।৩৮তম মিনিটে লিওনেল মেসির ফ্রি-কিক অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দুই মিনিট পর নেইমারের কার্ল শট ফিরে আসে পোস্টে লেগে।অবশ্য সমতা ফেরাতে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজিকে।
যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে নেইমারের সহায়তায় হেডে গোল করে পিএসজিকে সমতায় ফিরিয়ে সমতা ফেরান রামোস।এর আগে এই ডিফেন্ডারের ভুলেই পেনাল্টি পেয়েছিল মার্সেই।১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল
বিরতির পর দুই দলের লড়াই হয়েছে সমানে সমান।তবে এসময় মেসি-নেইমাররা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি,পেরেছেন মার্শেই তারকা রোসলান মিলানোভস্কি। ৫৭তম মিনিটে দারুণ এক গোলে দলকে ফের এগিয়ে দেন তিনি।
বাকি সময়টা ম্যাচে ফেরার জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলেও সফল হয়নি গলতিয়ের দল।ভাগ্যও অবশ্য এদিন ছিলনা মেসি-নেইমারদের সাথে।পাঁচ মিনিট যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মেন্দেসের শট ব্যর্থ হয় ক্রসবারে লেগে।
পরের মিনিটে মেসির দারুণ ক্রসে ছুটে গিয়ে হেড করেন স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার। তবে সেটা যায় একদম গোলরক্ষক বরাবর। সহজেই ফেরান লোপেস। তাতে ফরাসি কাপে শেষ ষোলোতেই বিদায় নিতে হলো পিএসজিকে।