অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা জোট ‘এইউকেইউএস’ সামরিক সংঘাতের ইন্ধন এবং পারমাণবিক বিস্তারের ঝুঁকি তৈরি করছে বলে দাবি করেছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে বলে এএনআই জানিয়েছে।
এইউকেইউএস এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের ইঙ্গিত প্রসঙ্গে মাও বলেন, “আমরা সবসময় বিশ্বাস করি, যে কোন আঞ্চলিক প্রক্রিয়া শান্তি ও উন্নয়নের ধারার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত, আঞ্চলিক দেশগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার উপকারী হওয়া উচিত। সেইসঙ্গে কোনো থার্ড পার্টির স্বার্থে টার্গেট বা ক্ষতিকর হওয়া উচিত নয়। নিজেদের একটি ‘ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদার’ বলা সত্ত্বেও এইউকেইউএস মূলত সামরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সামরিক সংঘর্ষে ইন্ধন জোগায়।”
তিনি আরও বলেন, “এটা দৃশ্যত স্নায়ুযুদ্ধের ভাবনায় পরিচালিত হয়। অতিরিক্ত পারমাণবিক বিস্তারের ঝুঁকি তৈরি করে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতাকে বাড়িয়ে তোলে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। বিষয়টি নিয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করছে।”
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ‘স্নায়ুযুদ্ধ ও জিরো-সাম মানসিকতা’ পরিহার করার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতাকে সম্মান করে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে এইউকেইউএস-কে কাজ করার আহ্বান জানান চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
স্কাই অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, ব্রিটেন ইন্দো-প্যাসিফিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ন্যাটোর মতো একটি ‘তদারকি সংস্থা’ গড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যের ডিফেন্স সিলেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান এইউকেইউএস এর সঙ্গে ভারত ও জাপানকে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন। এর মধ্যেই সংস্থাটি নিয়ে বিবৃতি নিয়ে দিলো চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাজ্য ইন্দো-প্যাসিফিকের জন্য এইউকেইউএস গঠনের ঘোষণা দেয়।