ক্লাব বিশ্বকাপ, কোপা দেল রে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মত নক-আউট টুর্নামেন্টগুলোতো আছেই, একই সঙ্গে লা লিগার ম্যাচেও প্রতি সপ্তাহে পরীক্ষার সম্মুখীন হতে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদকে। অথচ এসবের মাঝে কি না লস ব্ল্যাঙ্কসদের দলটি পরিণত হয়েছে একটি ছোটখাটো হাসপাতালে। করিম বেনজেমা, থিবো কোর্তোয়াসহ ক্লাবটির উল্লেখযোগ্য বেশ কয়েকজন ফুটবলার ধুঁকছেন চোটে। আর এসবের মাঝেই আজ রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মিশরের দল আল আহলির মুখোমুখি হবে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। ইতালিয়ান কোচের জন্য যে দল সাজানোটাই কপালে ভাঁজ পড়ার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে ইতিমধ্যেই মরক্কোতে পৌঁছেছে রিয়াল। তবে দলের সঙ্গে যাননি ব্যালন ডি-অর জয়ী ফরাসি তারকা বেনজেমা, গোলরক্ষক কোর্তোয়া, নির্ভরযোগ্য লুকাস ভাসকেস এবং দুই ডিফেন্ডার এদের মিলিতাও ও ফেরলদ মঁদি। তবে মাদ্রিদের জায়ান্টরা যদি ফাইনালে ওঠে, তাহলে কোর্তোয়া, বেনজেমা ও মিলিতাওকে ফাইনাল ম্যাচে পাওয়ার আশা করছেন রিয়াল বস আনচেলত্তি। আপাতত চিকিৎসার জন্য এই তিনজন মাদ্রিদে থাকবেন। সবকিছু পরিকল্পনা মতো এগোলে সপ্তাহের শেষ দিকে মরক্কোয় দলের সঙ্গে যোগ দেবেন তারা।
গত বৃহস্পতিবার লা লিগায় ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে পায়ে চোট পান বেনজেমা ও মিলিতাও। দুই দিন পর মায়োর্কার বিপক্ষে খেলতে পারেননি এই দুই ফুটবলার। এই ম্যাচের আগেই ওয়ার্ম-আপের সময় কুঁচকিতে চোট পান কোর্তোয়া। তবে মেডিকেল পরীক্ষায় জানা যায়, এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদী নয়। অন্যদিকে চোটের কারণে লম্বা সময় ধরেই দলের বাইরে ভাসকেস ও মঁদি।
ক্লাব বিশ্বকাপের পর কোপা দেল রের সেমি-ফাইনালে বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলবে রিয়াল। এরপর রয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুলের সঙ্গে শেষ ষোলোর লড়াই। চোট-জর্জর দল নিয়ে আগামী কয়েক সপ্তাহের ঠাসা সূচিতে স্বাভাবিকভাবে কিছুটা হিমশিম খেতে হবে রিয়ালকে। তবু সব শিরোপার জন্যই লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ের কথা বললেন রিয়াল বস আনচেলত্তি, ‘আমরা কোনো টুর্নামেন্টকেই বাদ দেব না, সবগুলোতেই আমরা শিরোপার কাছাকাছি আছি।’
তবে এমন ঠাসা সূচি নিয়ে বেশ বিরক্ত ইতালিয়ান কোচ। খেলোয়াড়দের শারীরিক ক্লান্তির কথা মাথায় রেখে ভবিষ্যত সূচি সাজানোর পরামর্শ দিলেন ম্যানেজারদের ডন হিসেবে খ্যাত আনচেলত্তি, ‘আমরা কখনোই কোনো ম্যাচ বাদ দিতে চাই না। কিন্তু সূচি আশ্চর্যজনক, থামাথামির নাম নেই। লা লিগা, ফিফা, উয়েফা, স্প্যানিশ এফএ সবাই নিজেদের ম্যাচ আয়োজন করতে চায়। তারা আমাদের একটি দিনও বিশ্রাম করতে দেবে না। বিশ্রাম পেলে আমি বিরক্ত হই, তবে খেলোয়াড়রা তো ক্লান্ত হয়ে যায়। প্রতিটি শিরোপার জন্য আমরা সবসময় লড়াই করি। কিন্তু এই ঠাসা সূচির কারণে নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের সবাইকে কিছু করতে হবে।’