Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

একুশ শতকের ভয়াবহ সাতটি ভূমিকম্প

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

১৯৯৯ সালে সোমবার ভোরের প্রায় কাছাকাছি শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল তুরস্কে। ঐ ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড হয় ইজমিত ও জনবহুল পূর্বাঞ্চলীয় মারমারা সাগর অঞ্চল। ঐ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছিল। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান সোমবারের ভূমিকম্পকে ১৯৩৯ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্যোগ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ১৯৩৯ সালের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছিল ৩২ হাজারের বেশি এবং আহত হয়েছিল লক্ষাধিক। একুশ শতকে এখন পর্যন্ত সাতটি ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। এসব ভূমিকম্পের প্রতিটিতে নিহতের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের বেশি। ২০০১ সালে ভারতের গুজরাট এবং ২০১১ সালে তহুকু ভূমিকম্প ও সুনামিতে জাপানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২০ হাজারের সামান্য বেশি। ২০০৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইরানে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ২৬ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ২০০০ দশকের মাঝামাঝিতে দুটি বড় ভূমিকম্প হয়। ২০০৫ সালের অক্টোবরে কাশ্মীরের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। আর ২০০৮ সালের মে মাসে চীনের সিচুয়ানে হয় ভূমিকম্প। দুটি ভূমিকম্পে সম্মিলিত প্রাণহানির সংখ্যা ছিল ৮৭ হাজার। একুশ শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী দুটি ভূমিকম্পের প্রতিটিতেই নিহতের সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। যদিও নিহতের সংখ্যা একেবারে সঠিক নয়। ২০১০ সালে হাইতির ভূমিকম্পে দ্বীপটি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বলা হয়ে থাকে নিহতের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার। এ শতকের সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হয় ২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর। ভারত মহাসাগরের এই ভূমিকম্পের পর সুনামি দেখা দেয়। এতে ২ লাখ ২৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়। এই ভূমিকম্পের তীব্রতা ছিল রিখটার স্কেলে ৯ দশমিক ১ থেকে ৯ দশমিক ৩। রেকর্ডকৃত ভূমিকম্পের মধ্যে এটি ছিল তৃতীয় সর্বোচ্চ মাত্রার এবং এর ব্যাপ্তি ছিল আট ও দশ মিনিটের মধ্যে। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ