Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচির দরুণ শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চাই জাতীয় সমাবেশে খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ

১৭ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিক্ষোভ ও ১১ মার্চ উলামা সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৫৩ পিএম

জালেম সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার জন্যই আমরা মাঠে নেমেছি। বন্দুকের নল দিয়ে আন্দোলন দমানো যাবে। কিন্ত কারাবন্দি আলেম ওলামাদের চোখের পানি বন্ধ করা যাবে না। নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাস তৈরির দায়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনির পদত্যাগ চাই। অনতিবিলম্বে নাস্তিক্যবাদী পাঠ্যসূচি বাতিল করে গ্রহণযোগ্য নতুন বই বিতরণ করতে হবে। শিক্ষার সর্বস্তরে ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। রির্জাভ ফান্ড চুরির জন্য সরকারই দায়ী। দুর্নীতি লুটপান বন্ধ করতে হলে আল্লাহর জমিনা কোরআন্রে আইন চালু করতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী আজ মঙ্গলবার গুলিস্তান পার্কে দলের উদ্যোগে জাতীয় সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অবিলম্বে মাওলানা মামুনুল হকসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি ও সকল মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। না হয় রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
১০ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশব্যাপী ও ঢাকার বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ এবং ১১ মার্চ ঢাকায় জাতীয় উলামা সম্মেলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ।
গুলিস্তান পার্কে সংগঠনের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা আব্দুল আজীজ ও সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালীর যৌথ পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আশরাফ. জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল মাওলানা ইউনুস আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস অভিভাবক পরিষদের চেয়ারম্যান আল্লামা রফিকুল ইসলাম, সদস্য আল্লামা আবুল কালাম, নায়েবে আমীর মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা রেজাউল করিম জালালী, মুফতী সাঈদ নূর, যুগ্ম-মহাসিচব মাওলানা মাহবুবুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজী, কেন্দ্রীয় অফিস ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল, মুহাম্মদ ফয়সাল, মুফতি ওজায়ের আমীন, মাওলানা সামিউর রহমান মুসা, মাওলানা নিয়ামতুল্লাহ, মাওলানা হারুনুর রশীদ ভূইয়া, মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা শরীফ হোসাইন, নির্বাহী সদস্য মাওলানা সাব্বির আহমদ উসমানী, মাওলানা রুহুল আমীন খান, মাওলানা আব্দুল মুমিন ও ইসলামী ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ খালেদ সাইফুল্লাহ।
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর শায়খুল হাদীস আল্লামা ইসমাঈল নূরপুরী বলেছেন, জাতীয় পাঠ্যপুস্তকে ভুল ও ইসলম বিরোধী শিক্ষা সংযোজন এবং ইসলামী শিক্ষা সঙ্কোচন করার অপরাধে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ করতে হবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলাম বিরোধী পাঠ্যপুস্তক চলতে পারে না। বর্তমান পাঠ্যপুস্তক বাজেয়াপ্ত করে সংশোধিত নতুন পাঠ্যপুস্তক ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে দিতে হবে। অন্যথায় আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। তিনি আরও বলেন আমাদের সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, বি-বাড়ীয়া জেলা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাওলানা মঈনুল ইসলামসহ শীর্ষ কয়েকজন আলেম প্রায় ২২ মাস যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। একজন দাগী আসামির মতো হাতে হ্যান্ডকাপ, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুপ জ্যাকেট পরিয়ে কোমরে রশি বেধে আলেম-উলামাদের আদালতে আনা- নেওয়া করা হয়। যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। এতে তারা শারীরিকভাবে ও মানসিকভাবে কষ্ট পাচ্ছেন। এটা সম্পূর্ণ জুলুম ও অন্যায়। সরকারের এ আচরণে দেশের মানুষ ক্ষুদ্ধ। আলেমদের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ সরকারের ক্ষতি ঢেকে আনবে। আদালতে আলেমদের অসসম্মানজনকভাবে আনা-নেয়া বন্ধ করুন।
তিনি আরও বলেন, সরকার সাধারণ মানুষের দিকে কোনো দৃষ্টি পাত করছে না। মানুষ জীবন পরিচালনা করতে হিমশিম খাচ্ছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের কোনো সমন্বয় নেই। চাল, ডাল, তেলসহ সকল পণ্যের দাম আকাশচুম্বী যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে। আবার গ্যাস বিদ্যুতের দাম ও বার বার বাড়ানো হচ্ছে। মানুষ কিভাবে সংসার চলাবে তা নিয়ে রীতিমত হাপিয়ে উঠছে। সামনে পবিত্র রমজান মাস আসতেছে তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর ভূমিকা নিন। মানুষকে বাঁচতে দিন।
তিনি বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভঙ্গুর। এখন আর মানুষ ভোট কেন্দ্রে যেতে চায় না। যার প্রমাণ কয়েক দিন আগে উপনির্বাচনে ভোট কেন্দ্রের চিত্র যা গণমাধ্যমে এসেছে। দেশের মানুষ নিরপেক্ষ স্বচ্চ ও সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনের পরিবেশ দেখতে চায়। তাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ