Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দেশে উদ্ভাবিত করোনা কিটের ব্যবহারিক কার্যক্রমের উদ্ভোধন

উপসর্গ প্রকাশের আগেই করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যাবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৫:৩৫ পিএম

বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) যৌথ উদ্যোগে অর্থাৎ বাংলাদেশের উদ্ভাবিত করোনা কিটের ব্যবহারিক কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ’র বি ব্লকের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস শ্রেণি কক্ষে এর উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. আফজালুন নেছা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আহসান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আফতাব আলী শেখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপকভাবে গবেষণা কার্যক্রম চলছে। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নির্ণয়ক এন্টিবডি নিয়ে গবেষণা কার্যক্রমের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের ধরণ শনাক্তকরণ কার্যক্রম অর্থাৎ জেনোম সিক্যুয়েন্সিং নিয়ে একাধিক গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের যে কিটটি উদ্ভাবিত হলো তাও গবেষণার ফলে সম্ভব হয়েছে। গবেষণার মাধ্যমেই একদিন ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ ও তরিৎ পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ করোনা মহামারীকে সফলভাবে মোকাবিলা করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মতো বিএসএমএমইউসহ অন্যন্যা প্রতিষ্ঠানের গবেষণার মাধ্যমে যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাসের শনাক্তকরণের বিশ্বমানের একটি কিট উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. মোহাম্মদ হোসেন, বেসিক সাইন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. শিরিন তরপদার, শিশু অনুষদের ডিন প্রফেসর ডা. রঞ্জিত রঞ্জণ রায়, এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. লায়লা আনজুমান বানু, ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. শাহ আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ইব্রাহিম মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এই কিটের ন্যূনতম শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১০০ কপি ভাইরাস/মিলি, যেখানে আমদানি করা অন্য কিটগুলোর শনাক্তকরণ ক্ষমতা ১ হাজার কপি ভাইরাস/মিলি। অর্থাৎ বিসিএসআইআরের কোভিড কিট দ্বারা একেবারেই ন্যূনতমসংখ্যক ভাইরাসকে শনাক্ত করা যাবে। ফলে রোগের উপসর্গ প্রকাশের আগেই ভাইরাসের উপস্থিতি জানা সম্ভব হবে। অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ে আরএনএ এক্সট্রাকশনের পদ্ধতিতে উদ্ভাবন করা হয় এ কিট। এ জন্য কিটের উৎপাদন খরচ বাণিজ্যিক কিটগুলোর চেয়ে কম। তাই উদ্ভাবিত এই কিট দ্বারা প্রতিটি শনাক্তকরণ পরীক্ষায় খরচ হবে ২৫০ টাকা।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ