মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারী বর্ষণ উপেক্ষা করে পঞ্চম সপ্তাহের মতো প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে। তিনি বিচার ব্যবস্থাকে সংস্কারের নামে নিজের ক্ষমতাকে পোক্ত করতে চাইছেন বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের। শনিবার ভারী বৃষ্টির মধ্যেও কেন্দ্রীয় শহর তেল আবিবের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। এ সময় তাদের হাতে ছিল নীল ও সাদা রঙের ইসরাইলি পতাকা। তারা সেøাগান দিয়েছে নেতানিয়াহুর আইনমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল-জাজিরা। তেল আবিবের বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন ৪৮ বছর বয়সী একজন সফটওয়্যার ডোভ লেভেংলিক। তিনি বলেছেন, ইসরাইলকে স্বৈরাচারের হাত থেকে গণতন্ত্রে নিয়ে যাওয়ার আন্দোলনে অংশ নিতে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছি আমি। তারা যা করছেন, তা লজ্জার। বিচার বিভাগের পরিবর্তন বা সংস্কারের নামে বিচারকদের ক্ষমতাকে খর্ব করার চেষ্টা করছে সরকার। উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু প্রধানমন্ত্রী হলেও তার বিরুদ্ধে আদালতে বিচারিক কার্যক্রম চলছে। অনেকে বলেন, তিনি সেই বিচার থেকে নিস্তার পেতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন। বিচারকরা যাতে তার বিরুদ্ধে রায় দিতে না পারেন, সে জন্য তিনি তাদের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে চাইছেন। কিন্তু আইনজীবীসহ বিরোধীদের অন্যান্য গ্রুপ এর বিরোধিতা করে উদ্বেগ জানিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন ব্যবসা সংক্রান্ত নেতৃবৃন্দও। এর ফলে ইসরাইলে রাজনৈতিক বিভাজন আরও গভীর হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সমালোচকরা বলছেন, সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তাতে ইসরাইলের গণতন্ত্র খর্ব হবে। এতে বিচারক নিয়োগের নিয়ন্ত্রণ পাবে সরকার। সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে বা নেসেট নামের পার্লামেন্ট যে আইন প্রণয়ন করবে, তার বাইরে যেতে পারবে না সুপ্রিম কোর্ট। ৩৫ বছর বয়সী হাদার সেগাল বলেন, সরকার চাইছে ইসরাইলের বিচার বিভাগকে ছিন্নভিন্ন করে দিতে। তারা ইসরাইলের গণতন্ত্রকে ছিন্নভিন্ন করতে চাইছে। তাই যেকোনো আবহাওয়ায় আমরা প্রতিবাদ জানাতে আসি। মিডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, শনিবার রাতে দেশটির প্রায় ২০টি শহরে এমন প্রতিবাদ হয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, বোমা ফেলার সময় কোনো শব্দ বা ধোঁয়া নির্গত হয় না। মাধ্যাকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মুক্তভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম এই বোমা। ফলে ড্রোনের মাধ্যমে বহন করতে পারা এই বোমা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আগে থেকে চিহ্নিত করাও সম্ভব হয় না। ইউএভি বা মানববিহীন বায়বীয় বাহনকে সাধারণভাবে ড্রোন বলে উল্লেখ করা হয়। মানববিহীন এই উড়োযানের সর্বশেষ ইসরাইলি সংস্করণটি প্রায় এক টন পর্যন্ত বোমা বহনে সক্ষম বলে জানা গেছে। দুই দশক চরম গোপনীয়তার মধ্যে পরীক্ষা-নীরিক্ষার পর গত জুলাইয়ে ইসরাইল প্রথমবারের মতো এই ড্রোনের তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশ করে। নভেম্বরে ইসরাইলের এক জেনারেল এ বিষয়ে জানান, এই ড্রোন পরিচালনায় বিমানবাহিনীর সঙ্গে গোলন্দাজ বাহিনীও কাজ করে। পার্শ্ববর্তী ফিলিস্তিন অঞ্চলের পাশাপাশি দূরের ইরান, এমনকি আফ্রিকার সুদান পর্যন্ত বোমা বহন করে নিয়ে যেতে সক্ষম এই ড্রোন। এই ড্রোন দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং বোমা ফেলা ছাড়াও নজরদারির জন্য আকাশ থেকে নিচের ভিডিও গ্রহণ করে তা প্রেরণ করতেও সক্ষম। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে ইসরাইলের এক জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশটির সশস্ত্র ড্রোন বহরে যাত্রীবাহী বিমানের আকারের হিরন টিপি নামে একধরনের ড্রোন রয়েছে। এই ড্রোনের মালিক রাষ্ট্রায়ত্ত ইসরাইল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এ ছাড়া এলবিট সিস্টেমস লিমিটেডের অপেক্ষাকৃত ছোট আকারের হারমিসও রয়েছে এই বহরে। এই কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, হিরন টিপি ইসরাইল সেনাবাহিনীর কাছে থাকা সবচেয়ে ভারী ড্রোন এবং প্রায় এক টনের কাছাকাছি গোলাবারুদ বহনে সক্ষম। রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় ড্রোন বহর পরিচালনাকারী দেশে পরিণত হয়েছে ইসরাইল। রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ইসরাইলি সামরিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই ড্রোনগুলো সরকারের সঙ্গে সরকারের চুক্তির মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ফলে এর তথ্য জনসম্মুখে প্রকাশের প্রয়োজন পড়বে না। রয়টার্স, ডয়চে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।