মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীনের সঙ্গে গালফ কো-অপারেশন (জিসিসি)ভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবেই মধ্যপ্রাচ্যে চীনের উপস্থিতি নিয়ে চলছে নানা সমীকরণ। দুই পক্ষ এখন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির দ্বারপ্রান্তে বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের সঙ্গে আলাপচারিতায় এ ব্যাপারে দ্রুত মীমাংসায় পৌঁছতে জোর দিয়েছেন। উভয় পক্ষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে এ চুক্তি। খবর দ্য ন্যাশনাল নিউজ। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিন গ্যাং দাবি করেন, উভয় পক্ষকে সহযোগিতার সম্পর্ক আরো গভীর করা প্রয়োজন। বিশেষ করে অর্থনীতি, বাণিজ্য, জ্বালানি, নির্মাণ স্থাপনা, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তির মতো খাতগুলোয়। মজবুত করতে হবে চীন ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে কৌশলগত অংশীদারত্ব। যত দ্রুত সম্ভব প্রবেশ করতে হবে মুক্ত বাণিজ্যের যুগে। এদিকে ইঙ্গিত করে নাসের সাইদি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের প্রধান ও অর্থনীতিবিদ নাসের সাইদি বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) এ বছরেই স্বাক্ষরিত হতে পারে। যদিও ২০০৪ সাল থেকেই চীন ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এফটিএ নিয়ে আলোচনা বিদ্যমান। দীর্ঘ এ সময়ে বাণিজ্য নির্ভর অনেক বিষয়েই একমত হয়েছে দুই পক্ষ। গত ডিসেম্বরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সউদী আরবে ঐতিহাসিক সফর করেন। ঘটনাটি মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যনীতিতে কৌশলগত পরিবর্তনের আভাস দেয়। ক্রমেই ঊর্ধ্বমুখী জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে চীনের সম্পর্কের সূচক। ২০১০-২১ সালে দ্বিগুণ রূপ নিয়েছে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। উপসাগরীয় অঞ্চলের মোট বাণিজ্যের ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এখন চীনের সঙ্গে। সউদী আরবের শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদার দেশটি। জেনারেল অথরিটি ফর স্ট্যাটিসটিকস অনুসারে, ২০২২ সালের প্রথম নয় মাসেই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ছিল ৭ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। দেশটির রফতানি পণ্যের ১৬ শতাংশের গন্তব্য ছিল চীন। আমদানির ২১ শতাংশের উৎস ছিল দেশটি। চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে আমিরাতও পিছিয়ে নেই। ২০২২ সালে ৯ হাজার ৯২৭ কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়েছে দেশটির সঙ্গে, যা আগের বছরের তুলনায় ৩৭ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি। দেশটি থেকে চীনের আমদানি বেড়েছে ৫৯ শতাংশ, সেখানে রফতানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ। একদিকে চীন আমিরাতের জন্য বৃহৎ বাণিজ্যিক অংশীদারে পরিণত হয়েছে। ন্যাশনাল নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।