নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে এবারের এশিয়া কাপও হবে এ সংস্করণের। আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চলতি বছর এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজী নয় ভারত। এই অবস্থায় এশিয়া কাপের ভেন্যু বাছাই নিয়ে বিপাকে পড়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। বাহরাইনে হওয়া সর্বশেষ সভাতেই এই নিয়ে কোন সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। আগামী মাসে আরেকটি সভায় এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
গত অক্টোবরে এসিসির সভাপতি ও বিসিসিআইর সেক্রেটারি জয় শাহ বলেছিলেন, এশিয়া কাপ নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই হবে কারণ ভারত পাকিস্তানে ভ্রমণ করবে না। এরপর তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে। ভারত এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে না গেলে, পাকিস্তানও বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যাবে না, এমন কড়া মন্তব্য আসে পিসিবির পক্ষ থেকে। পিসিবির নতুন প্রধান নাজাম শেঠিও তাদের এই অবস্থান বাহরাইনের সভায় তুলে ধরেছেন।
ভারত-পাকিস্তানের অনড় অবস্থানে তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা। আগামী মার্চে আরেকটি সভায় বসবেন এসিসির সদস্যরা। সেখানেই ২০২৩ এশিয়া কাপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এশিয়া কাপের উপর নির্ভর করছে ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। সেই টুর্নামেন্টও আয়োজিত হওয়ার কথা পাকিস্তানে।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের বাসে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দীর্ঘ সময় নির্র্বাসিত থাকার পর পর ধীরে ধীরে পাকিস্তানে নিরাপত্তা সংকট পার করে ফিরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মত দলগুলোও সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান সফর করেছে। এই অবস্থায় নিজেদের হোস্টিং ইভেন্ট নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সরিয়ে নিতে কোনভাবেই চায় না পাকিস্তান। রাজনৈতিক কারণে ২০১২-১৩ মৌসুমের পর থেকেই আর দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলে না ভারত-পাকিস্তান। এসিসি বা আইসিসির ইভেন্টেই মুখোমুখি হয় দুদল।
একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এ নিয়ে দুই বোর্ডের মধ্যকার সম্পর্ক আরও শীতল হতে চলার আবহেই বৈঠক করেছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ ও পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি। জয় শাহ আবার এসিসির সভাপতিও। তাদের আলোচনায় একটা বিষয় স্পষ্ট, পাকিস্তানে হচ্ছে না এশিয়া কাপ। শেঠি বিষয়টি মেনে নিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যু ঠিক করতে বলেছেন। জয় শাহ আরব আমিরাতের নাম প্রস্তাব করেছেন। মূলত শেঠির আহ্বানেই এসিসির অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর ক্রিকেট বোর্ডের প্রধানেরা বাহরাইনে একত্র হয়েছিলেন। মার্চে আবারও সভা হওয়ার কথা। সেখানেই চূড়ান্ত হবে আয়োজক দেশের নাম।
এদিকে ভারত-পাকিস্তানের মুখোমুখি অবস্থানে নিজেদের কোন পক্ষেই নিয়ে যায়নি বাকি সদস্য দেশগুলো। পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কার মতন দলগুলো নিজ নিজ সরকারের সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করবে। তবে গতকাল এক বিবৃতিতেও ২০২৩ এশিয়া কাপ নিয়ে গঠনমূলক আলোচনার কথা জানিয়েছে এসিসিও। বিসিসিআইয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, ‘ভারত সরকার আমাদের ক্রিকেট দলকে পাকিস্তানে খেলতে যাওয়ার অনুমতি দেবে না। আমরা অন্য বোর্ডগুলোকে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এ নিয়ে ভাবতে সবাই এক মাস অপেক্ষা করতে চেয়েছে। বুঝতে পারছেন, বিরাট কোহলি-রোহিত শর্মা-শুবমান গিলদের ছাড়া কোনো টুর্নামেন্ট হলে পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানগুলো মুখ ফিরিয়ে নেবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।