নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
১৯ বলের রেকর্ড ফিফটিতে এবার বিপিএল শুরু করেছিলেন রনি তালুকদার। পরের ম্যাচেও তুলেছিলেন ঝড়। এরপর তিন ম্যাচ নিষ্প্রভ থাকায় একাদশেই হারান জায়গা। ফিরে আবার তার ব্যাটে বাজছে ধারাবাহিকতার সুর। সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে আরেকটি ঝড়ো ফিফটিতে ম্যাচ জেতিয়েছেন রনি। গতপরশু রাতে অভিজ্ঞ এই ওপেনারের ঝড়ো ফিফটিতে সিলেটকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। ১৭১ রানের লক্ষ্য ১২ বল বাকি থাকতে ছুঁয়ে ফেলে তারা।
তবে এদিন নায়ক হতে পারতেন মুশফিকুর রহিম-তৌহিদ হৃদয়রা। আগে ব্যাট করে সিলেটের ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিংয়ে ১৩ চার ও ২ ছয়ে ৫৭ বলে ৮৫ রান করেন হৃদয়। মাশরাফি বিন মুর্তজার অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া মুশফিক খেলেন ৫ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩৫ বলে ৫৫ রানের ইনিংস। তবু শেষ পর্যন্ত জয় মেলেনি। রংপুরের এটি টানা পঞ্চম জয়। সবমিলিয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে তাদের অবস্থান। রংপুরের ওপরে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও ফরচুন বরিশালের ঝুলিতেও ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট। নেট রান রেটে এগিয়ে রয়েছে তারা। ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে সিলেট।
বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে ১৯ বলে ফিফটি স্পর্শ করেন রনি। যা বিপিএলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। সেদিন ৩১ বলে ৬৭ রান করে হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে ২৮ বলে ৪০ করলেও দল জেতেনি। পরের তিন ম্যাচে তিনি করেন ১, ০ ও ১১ রান। সাময়িক রান খরাতেই থাকে পরের ম্যাচে একাদশে রাখেনি রংপুর। এক ম্যাচ বিরতিতে দিয়ে ফেরার পর সিলেটের বিপক্ষে ৪১ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে ম্যাচ জেতান। পরের দুই ম্যাচে ২৯ ও ৩৪ রান করে রাখেন অবদান। তবে নিজেকে চেনাতে আরেকটু ডানা মেলা দরকার ছিল তার। শনিবার রাতে সেই কাজটি তিনি করেছেন দারুণভাবে। সিলেট স্টাইকার্সের বিপক্ষে ১৭০ রান তাড়া করতে নেমে রনির ব্যাটেই কাজটা সহজ হয়ে যায় রংপুরের। দারুণ সব শটের বাহারে দ্যুতি ছড়ান তিনি। পুল, ফ্লিক, স্ট্রেট ড্রাইভে দেখান দাপট। ৩৫ বলে ৬৬ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকেই এনেছেন ৫০ রান (৮ চার, ৩ ছক্কা)।
ম্যাচ শেষে ৩২ পেরুনো দলের অভিজ্ঞ ওপেনারের প্রশংসা ঝরল রংপুর রাইডার্স কোচ সোহেল ইসলামের কণ্ঠে, ‘রনি তালুকদার যখনই রান করে তখনই এই ধরণে ব্যাটিং সে করে। তার শট খেলার সামর্থ্য অনেক ভাল, বিশেষ করে নতুন বলে। যদি রান করতে হয় ওপেনারদের তাহলে উইকেটের চারপাশে শটস খেলার সামর্থ্য থাকতে হবে। যেটা রনির মধ্যে আছে।’ ২০১৫ সালে একবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন রনি। স্রেফ একটি টি-টোয়েন্টি খেলানো হয়েছিল তাকে। ওপেনার রনি সুযোগ পেয়েছিলেন সাত নম্বরে। ঘরোয়া ক্রিকেটে বরাবরই ছাপ ফেলা রনির আর সেই পর্যায়ে যাওয়া হয়নি। সোহেল মনে করছেন নিজের সহজাত ক্ষমতার সঙ্গে গুছানো পরিকল্পনায় এবার নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছেন এই ওপেনার, ‘এই বছর যেটা হচ্ছে নিজের খেলা সে গুছিয়ে নিচ্ছে। আগে যেটা ছিল উপর দিয়ে মারার একটা প্রবণতা ছিল, এখন নিচ দিয়েও কিছু শট খেলছে। এটা দলের যেমন সাহায্য হচ্ছে, তার ক্যারিয়ারেও... আমার মনে হচ্ছে সে নিজেকে নতুনভাবে উপস্থাপন করছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।