মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার সিরিজ, সিরিজ শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটাররা নাগপুরে গিয়েছেন। এরই মধ্যে ক্রিকেটারদের কপালে তিলক দেয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
ভারতের অনেক রাজ্যের রীতি রয়েছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বরণ করা হয় কপালে তিলক দিয়ে। ভারতের দুই ফাস্ট বোলার উমরান মালিক ও মোহাম্মদ সিরাজ হোটেলে ঢোকার সময় তিলক নিতে অস্বীকৃতি জানানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনায় রয়েছে। বিবিসি হিন্দি বলছে, ভিডিওটি ঠিক কোন সিরিজের আগে সেটা নিশ্চিত করা যায়নি।
অনেকে বলছেন এটা এই নির্দিষ্ট ক্রিকেটারদের পছন্দের ব্যাপার। আবার অনেকে এটাকে অসম্মান হিসেবে দেখতে চাইছেন। অতিথিকে বরণের রীতি হিসেবে সনাতন ধর্মে কপালে তিলক দেয়া হয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে হোটেল কর্মীরা ভারতের ক্রিকেটারদের তিলক দিয়ে বরণ করার সময় মোহাম্মদ সিরাজ হাসিমুখে নিজের অনিচ্ছার কথা প্রকাশ করে এগিয়ে যাচ্ছেন। একই ভাবে উমরান মালিকও কপালে তিলক নেননি।
ভারতে অনেকেই এই দুই ক্রিকেটারের তিলক না নেয়াকে ভালোভাবে দেখছেন না। ভারতের একজন গণমাধ্যমকর্মী সুরেশ চাভাঙ্কে টুইটারে লিখেছেন, ‘মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক কপালে তিলক নেননি, তারা তো ভারতের ক্রিকেটার, পাকিস্তানের নন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার হওয়ার পরেও তারা ধর্মের ব্যাপারে এমন কট্টর।’ মূলত সুদর্শন নিউজের এডিটর ইন চিফ সুরেশ চাভাঙ্কের টুইট থেকেই এই আলোচনার সূত্রপাত হয়েছিল। যোগি দেবনাথ নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে, মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক ধর্মীয় দিক থেকে উগ্র তাই তারা তিলক নেননি।
তবে অনেকেই আবার এই তীব্র সমালোচনারও প্রতিবাদ করছেন। যেমন জিয়া আগারওয়াল লিখেছেন, ‘কেন উমরান মালিক ও মোহাম্মদ সিরাজ তিলক নেননি কপালে? বিষয়টি খুবই সরল। তারা দুজন মুসলমান, তারা হিন্দু রীতিতে বিশ্বাস করেন না।’ ভারতের ফ্যাক্ট চেকার ও এএলটি নিউজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ জুবাইর মনে করছেন এটাকে একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী মুসলিম ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধে নেয়ার চেষ্টা করছে। তিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘ভিক্রাম রাঠোর ও হারি প্রাসাদ মোহানও তিলক নেননি। কিন্তু ডানপন্থীরা কেবলই মুসলমান ক্রিকেটারদের ফোকাস করছেন।’
কেউ কেউ উমরান মালিকের আগের ছবিও পোস্ট করছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে উমরান মালিক কপালে তিলক দিচ্ছেন। সিদ্ধার্থ রাজপুত নামের একটি টুইটার একাউন্ট থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে ভারতের জাতীয় সঙ্গীত চলার সময় মোহাম্মদ সিরাজ চোখের পানি ধরে রাখতে পারছেন না। তিনি এই ভিডিও টুইট করে লিখেছেন, এটা দিয়ে কী প্রমাণ হচ্ছে? পাকিস্তানের সাংবাদিক ফরিদ খান টুইটারে এই বিষয়টি উদ্ধৃত করে লিখেছেন, “মানুষকে এতো সহজেই বিচারে বসানো ঠিক হবে না, এটা শুধু ধর্মীয় নয়, ব্যক্তিগত পছন্দেরও ব্যাপার।”
কেউ কেউ তিলককে হিন্দু ধর্মের 'বর্ণ বৈষম্যে'র প্রতীক হিসেবে দেখতে চাইছেন। সীতু মহাজন কোহলি নিজের টুইটার একাউন্টে লিখেছেন, “ঐতিহাসিকভাবেই তিলক দিয়ে বর্ণ নির্ধারিত হয়ে আসছে। ব্রাহ্মণরা চন্দনের তিলক দিয়ে থাকে যা বিশুদ্ধতার প্রতীক, ক্ষত্রিয়রা দিয়ে থাকেন লাল তিলক, যা সাহসের প্রতীক। বৈষ্যরা হলুদ তিলক দেন, যা উন্নতির প্রতীক এবং শূদ্ররা কালো তিলক দেন।” সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।