মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ক্যানসার আক্রান্ত এক বিমানযাত্রী বিমানবালাদের নির্দেশনা মানতে পারেননি। এমন অভিযোগে তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়া হলো। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের উড়ানে। নয়াদিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল বিমানটি। গত ৩০ জানুয়ারি এই ঘটেছে।
প্রবীণ ওই যাত্রীর নাম মীনাক্ষী সেনগুপ্ত। আমেরিকায় থাকেন তিনি। ইতিমধ্যে তিনি আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ তিনি। বিমানবালাদের তার অসুস্থতার কথা জানানোর পরও, যাত্রী আসনের মাথার উপরে থাকা কেবিনে ব্যাগ তুলতে সাহায্য করেননি বিমানবালারা। ব্যাগটির ওজন ছিল প্রায় আড়াই কেজি। সেই ব্যাগ তোলার ক্ষমতা তার ছিল না। এটা জানার পরেও বিমানবালাদের কেউ এগিয়ে আসেননি।
ভারতের বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) প্রধান অরুণ কুমার বলেন, ‘আমরা এই বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছি। এই ধরনের অসংবেদনশীলতা আমরা বরদাস্ত করব না।’
আমেরিকান এয়ারলাইনস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ‘৩০ জানুয়ারি দিল্লি থেকে নিউ ইয়র্ক যাচ্ছিল আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ২৯৩। বিমানকর্মীদের নির্দেশ মানেননি বলে উড়ানের আগে এক যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের কাস্টমার রিলেশন টিম ওই যাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার টিকিটের টাকা (অব্যবহৃত অংশ) ফেরত দেওয়া হয়েছে।
ভারতে ছুটি কাটাতে এসেছিলেন মীনাক্ষী। সে সময় তার ক্যানসার ধরা পড়ে। দ্রুত একটি অস্ত্রোপচারও করা হয়। গত ৩০ জানুয়ারি আমেরিকা ফিরে যাচ্ছিলেন তিনি।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার পর অন্য একটি সংস্থার বিমানে টিকিট কেটে যেতে হয় তাকে। আমেরিকায় চিকিৎসা করানোর জন্য দ্রুত এই ব্যবস্থা করতে হয় তাকে। এ জন্য কাঠখড়ও পোড়াতে হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমেরিকান এয়ারলাইন্সকে ট্যাগ করে ঘটনার কথা জানিয়েছেন মীনাক্ষীর মেয়ে। তিনি হুইলচেয়ারে চেপেই বিমানবন্দরে যাতায়াত করেছিলেন। তারপরেও এ ধরনের হেনস্থার কারণে ক্ষুব্ধ তিনি।
মীনাক্ষীর অভিযোগ, ‘বিমানবন্দরের কর্মীরা খুবই সাহায্য করেছেন। আমাকে বিমানে তুলে আমার হ্যান্ডব্যাগ পাশে রেখে দিয়েছিলেন। বিমানে উঠে কর্মীদের আমার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়েছিলাম। কেউই আমার হ্যান্ডব্যাগ কেবিনে তুলে রাখার কথা বলেননি। ফ্লাইটের আগে বিমানের আলো কমিয়ে দেওয়া হয়। তখন এক বিমানকর্মী এসে আমাকে ব্যাগ কেবিনে তুলে রাখতে বলেন। আমি সাহায্য চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাজ না’।
মীনাক্ষী জানান, অনেক অনুরোধের পরেও তাকে বিমানকর্মীরা সাহায্য করেননি। বিমানচালক এসেও এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে রাজি হননি। এর পর বিমানকর্মীরা তাকে বিমান থেকে নামিয়ে দেন।
আমেরিকান এয়ারলাইন্সের এই পদক্ষেপ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই যাত্রী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।