Inqilab Logo

রোববার, ২৬ মে ২০২৪, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জি২০ সভাপতি হিসেবে ভারতের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা জাতিসংঘের

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:৫৫ পিএম
আগামী ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি ভারতে অনুষ্ঠিত হবে জি২০’র সদস্য দেশের অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরদের বৈঠক। এতে সভাপতিত্ব করবে ভারত। গত বছরের শেষের দিকে জি২০’র সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে দেশটি। এই বৈঠকের সভাপতি হিসেবে ভারতের কাছে অনেক বেশি প্রত্যাশা রয়েছে জাতিসংঘের। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) প্রশাসক, আচিম স্টেইনার এ কথা জানিয়েছেন।
আচিম স্টেইনার ভারতের জি২০’র সভাপতিত্বের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরেছেন এবং নয়াদিল্লি তার নেতৃত্বের সময় যে অগ্রাধিকারগুলো নির্ধারণ করেছে সেটিকে স্বাগত জানিয়েছেন।
জাতিসংঘে ভাষণ দেওয়ার সময় স্টেইনার বলেন, তিনি জি২০ অর্থমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরদের বৈঠকে যোগ দিতে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে যাবেন।
ইউএনডিপি প্রশাসক বলেন, আমি মনে করি এটা বলা ন্যায়সঙ্গত যে ভারতের জি২০ সভাপতিত্ব ২০২১ সালের ইন্দোনেশিয়ার নেতৃত্ব অনুসরণ করে। একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত যেখানে মূল সিদ্ধান্ত, যেগুলো বহুপাক্ষিক ব্যবস্থায় পরিচালনা করতে পারে, নিষ্পত্তি করা যেতে পারে, তৈরি করা যেতে পারে। অন্তত বর্তমান অর্থায়নের নাটকের প্রতিক্রিয়া নয়, যা আমাদের চোখের সামনে উন্মোচিত হচ্ছে।
স্টেইনার বলেন, সুতরাং আমাদের খুব উচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে এবং অবশ্যই আমি ভারত তার সময় যে অগ্রাধিকারগুলো নির্ধারণ করেছে সেটাকে স্বাগত জানাই। আমরা যে পরামর্শ এবং ইনপুট দিয়েছি তা ইউএনডিপি অত্যন্ত মূল্যবান বলে মনে করে। 
জি২০’র প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কর্ণাটকের ব্যাঙ্গালুরুতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ডিসেম্বরে ভারত কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে প্রথম জি২০ অর্থ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটিদের বৈঠকের আয়োজন করেছিল। এতে ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স সেক্রেটারি শ্রী অজয় শেঠ এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মাইকেল পাত্র সহ-সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠকে জি২০ ভুক্ত সদস্য দেশ, আমন্ত্রিত দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো ডেপুটিসহ ১৬০টিরও বেশি বিদেশি প্রতিনিধিদের একটি উত্সাহী সমাবেশ দেখা গেছে। এটি ভারতের সভাপতিত্বের অধীনে জি২০ ফাইন্যান্স ট্র্যাকের সূচনা করে।
দুই দিনব্যাপী সাতটি আলোচনা সভা ও দুটি পার্শ্ব ইভেন্টের আয়োজন করা হয়। বিবৃতি অনুসারে, প্রতিনিধিদের কর্ণাটকের ঐতিহ্যগত পাশাপাশি সমসাময়িক সংস্কৃতিরও একটি আভাস দেওয়া হয়েছিল বিভিন্ন শিল্পের উজ্জ্বল প্রদর্শনের মাধ্যমে। সূত্র : এএনআই।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ