ফুটবল মাঠে যে নেইমার একদিন অনেক কিছু অর্জন করতে পারবেম সেটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল শৈশবেই।মুগ্ধকর সব ড্রিবলিং আর পাসিং- এ সেই কিশোর বয়সেই সমবয়সীদের চেয়ে নিজের বিশেষ ফুটবল প্রতিভা জানান দিয়েছিলেন। এই বয়স বেড়েছে,সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তার দক্ষতা,খ্যাতি,অর্জন।অল্প সময়েই ব্রাজিল দলের তরুপের তাস হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
ব্রাজিলের ইতিহাসের পেলের সঙ্গে যুগ্মভাবে সর্বোচ্চ গোলদাতা নেইমার এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ বা ব্যালন ডি'অর জিততে না পারলেও ব্রাজিলের সেরাদের কাতারেই রাখা হয় পিএসজির এই তারকা ফুটবলারকে। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে বিশ্ব মাতানো নেইমার আজ পা দিয়েছে ৩১ বছর বয়সে।
১৯৯২ সালে জন্ম নেয়া নেইমারের নাম ব্রাজিলের ফুটবলে নিজের অবস্থান জানান দিয়েছিলেন ২০০৯ সাল থেকেই। পেলের ক্লাব সান্তোসের হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা ১৭ বছর বয়সী তরুণ দারুণ আলোড়ন তুলেছিলেন দেশটির ফুটবলে। তাই তো ২০১০ বিশ্বকাপেই তাকে দলে নেয়ার জন্য কোচ দুঙ্গার ওপর চাপ তৈরি করছিল ব্রাজিলের সমর্থকরা। ইউরোপেও নেইমারের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে এই সময়। ব্রাজিলের বিস্ময়বালককে দলে ভেড়াতে লোভনীয় প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয় ওয়েস্ট হ্যাম ও চেলসির মতো ক্লাব। তবে নেইমার তখনই দেশ ছাড়তে ইচ্ছুক ছিলেন না।
২০১১ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ব্রাজিলের জার্সি গায়ে অভিষেক নেইমারের। সেই তখন থেকেই সাম্বার দেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা তিনিই। সেদিনের তরুণ নেইমার এখন ৩১ বছরে এসে পূর্ণ এক ফুটবলার।সময়ের অন্যতম সেরাও বটে।ব্রাজিলের জার্সিতে এখন পর্যন্ত ১২৪ ম্যাচ খেলে ৭৭ গোল করেছেন নেইমার। ব্রাজিলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা পেলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এখন নেইমারের নামও।