Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিরোপার পঞ্চমে পার্থ স্কোর্চার্স বিগ ব্যাশ লিগ

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রথম ১০ ওভারে রান উঠল কেবল ৬৭। জয়ের জন্য বাকি ১০ ওভারে দরকার ১০৯, শেষ ৩ ওভারে ৩৮। অ্যাশটন টার্নারের ঝড়ো ফিফটি আর কুপার কনোলি ও নিক হবসনের দুটি ক্যামিও ইনিংসে সেই কঠিন সমীকরণ মেলাল পার্থ স্কোর্চার্স। ব্রিজবেন হিটের স্বপ্ন চুরমার করে ফের বিগ ব্যাশের শিরোপা উৎসব করল টুর্নামেন্টের সফলতম দলটি। গতকাল পার্থ স্টেডিয়ামে ৫৩ হাজারের বেশি দর্শকের সামনে দ্বাদশ আসরের ফাইনালে ৫ উইকেটে জিতেছে পার্থ স্কর্চার্স। ১৭৬ রানের লক্ষ্য তারা পেরিয়ে গেছে ৪ বল হাতে রেখে। পাঁচ নম্বরে নেমে ৩২ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রানের ইনিংস খেলে ফাইনালের নায়ক পার্থের অধিনায়ক টার্নার। কনোলি ১১ বলে ২৫ ও হবসন ৭ বলে ১৮ রানের ইনিংস খেলে জয় নিয়ে ফেরেন।
বিগ ব্যাশের ফাইনালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়ায় জয় এটি। ২০১৬ সালে মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে ১৭৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় জিতে রেকর্ড গড়েছিল সিডনি থান্ডার। অস্ট্রেলিয়ার এই ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ড পার্থের ছিল আগে থেকে। পঞ্চম শিরোপা জিতে সেই রেকর্ড আরও সমৃদ্ধ করল তারা। আসরে ব্রিজবেনের বিপক্ষে তিনবারের দেখায় পার্থ জিতল প্রতিবারই।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রিজবেন ১৭৫ রান করে ৭ উইকেট হারিয়ে। তাদের ইনিংসে পঞ্চাশ ছুঁতে পারেনি কেউ। তবে কার্যকর ইনিংস খেলেন কয়েক জন। তিন নম্বরে নেমে ন্যাথান ম্যাকসুইনি সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ৩৭ বল খেলে। দুই ওপেনার স্যাম হেজলেট ৩০ বলে ৩৪ ও জশ ব্রাউন ১২ বলে করেন ২৫। ছয় নম্বরে ম্যাক্স ব্রায়ান্ট ১৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে করেন ৩১ রান। এ দিন একটি উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম ৩০০ উইকেটের রেকর্ড গড়েন অ্যান্ড্রু টাই।
রান তাড়ায় পার্থের প্রথম তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে গেলেও কেউ ইনিংস টেনে নিতে পারেনি। অষ্টম ওভারে ৫৪ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে জস ইংলিসের সঙ্গে ৫২ বলে ৮০ রানের জুটিতে দলকে লড়াইয়ে এগিয়ে নেন টার্নার। তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন ৩০ বলে। এরপর একই ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে হারায় পার্থ। ইংলিশ ২২ বলে করেন ২৬ রান। দ্বিতীয় রানের চেষ্টায় হবসনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন টার্নার। ১৮ বলে দরকার যখন ৩৮, অষ্টাদশ ওভারে জেমস বাজলিকে দুই ছক্কা ও একটি চারে কনোলি তোলেন ১৮ রান। পরের ওভারে তিনি জীবন পান ব্রাউন ক্যাচ ফেলায়। এই ওভারে আসে ১০ রান। শেষ ওভারে ১০ রানের সমীকরণে মাইকেল নেসারকে পরপর ছক্কা-চারে ম্যাচের ইতি টেনে দেন হবসন। শুরু হয়ে যায় পার্থের উৎসব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ