Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া আট ব্যক্তি

তারা `ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করেন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ৬:৫৬ পিএম

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তা সেজে চাঁদাবাজি করার অভিযোগে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে দক্ষিণ পীরেরবাগ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে তাদের একদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শাহিন ওরফে বল্লা শাহীন (২৫), মো. ইউসুফ চৌধুরী (২৮), মো. আব্দুল আলিম (২৩), মো. মামুন কাজী (৩২), মো. দেলোয়ার হোসেন (২৬), সুলতান মাহিদ পিয়াস (৩৩), মো. তুষার (৩১) ও মো. রাহাদ (২৮)।

তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এদের মধ্যে বল্লা শাহীন মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি। মোহাম্মদ মহসীন বলেন, শুক্রবার রাত ৯টার দিকে বল্লা শাহীন বাকি আসামিদের নিয়ে দক্ষিণ পীরেরবাগ আল বারাকা বেকারি নামে একটি প্রতিষ্ঠানে যান। সেখানে গিয়ে নিজেকে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ পরিমাণ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা বেকারিতে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আছে অভিযোগ করে মামলা ও জরিমানা করার ভয়ভীতি দেখান।

এক পর্যায়ে বেকারির কর্মচারীরা ১৩ হাজার ৫০০ টাকা দেন তাদের। কিন্তু এতে অসন্তুষ্ট হয়ে তারা গালিগালাজ করেন বল্লা শাহীন ও সহযোগীরা। এসময় দোকানের এক কর্মচারী কৌশলে পুলিশকে ফোন করে বিষয়টি জানান। পুলিশ গিয়ে বল্লা শাহীন ও তার পুরো দলকে গ্রেপ্তার করে।

ওসি জানান, বল্লা শাহীন ও তার দল গতকাল ভোক্তা অধিকার কর্মকর্তা সেজেছেন। এর আগে তারা অন্য বেশেও চাঁদাবাজি করেছেন। ২০২০ সালে মোহাম্মদপুরে তারা পুলিশ সেজে চাঁদাবাজি করেন। এ ঘটনায়ও তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। বল্লা ও তার সহযোগীরা পেশাদার অপরাধী। ২০১৯ সালে মিরপুরের আলোচিত সুমন হত্যা মামলার প্রধান আসামি বল্লা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, হত্যা প্রচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪টি মামলা রয়েছে। আরেক আসামি সুলতান মাহিদ পিয়াসের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে ৩টি। এছাড়া মো.ইউসুফ চৌধুরী, মো. আব্দুল আলিম, মো. মামুন কাজী, মো. দেলোয়ার হোসেন ও রাহাতের বিরুদ্ধে ২টি করে মামলা রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ