পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) উপজেলা সংবাদদাতা : বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে অবৈধ চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় তেঁতুলিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার আরিফ হোসেন লিপ্টনকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল এবং স্বারকলিপি দিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ। গতকাল সোমবার দুপুরে তেঁতুলিয়া চৌরাস্তা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে হতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সোয়েব আক্তার মিঞা। বিক্ষোভে কয়েকশ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অংশ নেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার এবং ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার পর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের নামে প্রত্যেক পরিবহন থেকে ২’শ টাকা করে চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়। ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে জানা যায় বর্তমানে একই চাঁদা তোলা হচ্ছে ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে। ছাত্রলীগ নেতারা জানায় ভারতের শিলিগুড়ির নর্থবেঙ্গল আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও ফুলবাড়ী পঞ্চায়েত সমিতির মাধ্যমে বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান পণ্যবাহী প্রত্যেক ট্রাক থেকে ২’শ টাকা করে অবৈধভাবে চাঁদা তুলছেন। এর মধ্যে ১শ টাকা বাংলাবান্ধা ইউপির নামে চেয়ারম্যন নিজে এবং ১শ টাকা নর্থবেঙ্গল আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েসন ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন । ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও সপ্লাইয়াররা রফতানিযোগ্য পণ্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন। উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি খন্দকার আরিফ হোসেন লিপ্টন একজন সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট এবং আমদানি-রফতানিকারক হিসেবে এই চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় গত ২৪ ডিসেম্বর বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে প্রকাশ্যে তাকে লাঞ্ছিত করেন বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন। ছাত্রলীগ নেতারা জানায় উক্ত চেয়ারম্যান সপ্তাহে ২ বার ভারত যাতায়াত করছেন শুধু চাঁদার টাকার ভাগ আদায় করতে । বিভাগীয় অনুমোদন ছাড়াই তিনি ভারত যাতায়াত করছেন। তারা কুদরত-ই-খুদা মিলনের পাসপোর্ট জব্দ এবং ইমিগ্রেশনে তদন্ত করার দাবি জানান। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বিচার না হলে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যাতে কোনো যানবাহন চলাচল করতে না পারে এ জন্য সড়ক অবরোধ করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ নেতারা।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের নামে এর আগে প্রত্যেক ভারতীয় পন্যবাহী ট্রাক থেকে দু’শ টাকা করে চাঁদা নেয়া হতো। ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়ানোর মাধ্যমে এই টাকা বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকেই আদায় করতেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসলে চাঁদা আদায় বন্ধ করা হয়। সম্প্রতি ভারতের ফুলবাড়িতে অভিনব কায়দায় এই চাঁদা আদায়ের ঘটনায় ব্যবসায়ীরাও উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। তারা বলছেন চাঁদা আদায়ের এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বাংলাদেশী ব্যবসায়ীরা এই বন্দরে ব্যবসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। ফলে সরকার বঞ্চিত হবে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।