Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোগের সূচনা

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১:৩১ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের একটি প্রযুক্তিবিষয়ক উদ্যোগের সূচনা হয়েছে। ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস (আইসিইটি) শীর্ষক এই উদ্যোগ গত মঙ্গলবার ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত ডোভাল  ও মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা করেন। 
যুক্তরাষ্ট্রের ভারতীয় দূতাবাস এক টুইটে জানিয়েছে, লক্ষ্যকে পদক্ষেপে রূপান্তর করা! এনএসএ-এর অজিত ডোভাল এবং জেক সুলিভান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএস-ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ অন ক্রিটিকাল অ্যান্ড ইমার্জিং টেকনোলজিস - এর সূচনা করেছেন। এই উদ্যোগ আইসিইটি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কৌশলগত, বাণিজ্যিক এবং বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। খবর দ্য প্রিন্টের। 
এক বিবৃতি বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মে মাসে দুই দেশের সরকার, ব্যবসা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কৌশলগত, প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব এবং প্রতিরক্ষা শিল্প সহযোগিতাকে উন্নত ও প্রসারিত করতে আইসিইটি ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
হোয়াইট হাউজ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতি বলা হয়েছে, প্রযুক্তির নকশা, বিকাশ ও ব্যবহারের উপায়গুলি একে অপরের সঙ্গে বিনিময় করে নেবে বলে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত নিশ্চিত করেছে। এটি আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সর্বজনীন মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন। আমরা একটি উন্মুক্ত, প্রবেশাধিকারযোগ্য এবং সুরক্ষিত প্রযুক্তিকে আরও উন্নত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পারস্পরিক আস্থা আমাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, উভয় পক্ষ ক্রিটিক্যাল ও ইমার্জিং প্রযুক্তি, সহ-উন্নয়ন এবং সহ-উৎপাদনে বৃহত্তর সহযোগিতার সুযোগ এবং আমাদের উদ্ভাবন বাস্তুতন্ত্র জুড়ে সংযোগ গভীর করার উপায় নিয়ে আলোচনা করেছে। আর ভবিষ্যতের সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে জৈবপ্রযুক্তি, উন্নত উপকরণ এবং বিরল পৃথিবী প্রক্রিয়াকরণ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলিকেও চিহ্নিত করেছে।
এর আগে অজিত ডোভাল হোয়াইট হাউজে গিয়ে জেক সুলিভানের সঙ্গে সাক্ষাৎকরে বৈঠক করেন। বৈঠকে দুই দেশের প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জেক সুলিভান বলেন, চীন এই মুহূর্তে ভারত তথা সারা বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 
যদিও আইসিইটিতে চীনের কথা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ নেই। বাইডেন প্রশাসন চীনের প্রযুক্তিগত উন্নয়নকে একটি লড়াই হিসেবে দেখছে। চীনের সঙ্গে এই লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র হারতে চায় না। আর সেটাই হবে আইসিইটি-র অন্যতম মূল পদক্ষেপ।


 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ