Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

কেন এফপিও প্রত্যাহার? কারণ জানালেন গৌতম আদানি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ২:৩৩ পিএম

মার্কিন শর্ট-সেলার সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের রিপোর্টকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিতর্কের মধ্যে বড় সিদ্ধান্ত নিল আদানি গ্রুপ। বুধবার সংস্থার পরিচালন পর্ষদ এক বৈঠকে গ্রাহকদের স্বার্থে তাদের সম্পূর্ণরূপে সাবস্ক্রাইবড, ২০ হাজার কোটি রুপির ইকুইটি শেয়ারের এফপিও বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেছেন, ‘আমরা এফপিওর সম্পূর্ণ সাবস্ক্রিপশন পেয়েছি, যার জন্য আমরা বিনিয়োগকারীদের কাছে কৃতজ্ঞ। বাজারের অস্থিরতার কথা মাথায় রেখে পরিচালন পর্ষদ এ এফপিও বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘শেয়ারবাজারে চলমান দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা এফপিও থেকে প্রাপ্ত পরিমাণ বিনিয়োগকারীদের ফিরিয়ে দেব।’ ২৭ জানুয়ারি, গৌতম আদানির কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ ২০ হাজার কোটি রুপি সংগ্রহের জন্য এফপিও জারি করেছিল। কোম্পানির পক্ষ থেকে স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের পতন অব্যাহত রয়েছে। বুধবার আদানি গ্রুপের শেয়ার প্রায় ৩০ শতাংশ কমে যাওয়ার পরে সংস্থাটি তার এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদানি গ্রুপের এফপিও-তে বেশিরভাগ বিনিয়োগ করপোরেট এবং বিদেশী বিনিয়োগকারীরা করেছে। এফপিওতে বিনিয়োগের জন্যও প্রচুর উৎসাহ ছিল। বুধবার আদানি গ্রুপের শেয়ারে ব্যাপক পতন দেখা গেছে। এর মধ্যে আদানি গ্রুপের দুটি শেয়ার বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার প্রায় ২৮ শতাংশ কমেছে এবং আদানি পোর্টের শেয়ার ১৯ শতাংশ কমেছে।

এফপিও প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তের বিষয়ে, আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেছেন যে, ‘পুরোপুরি সাবস্ক্রাইবড এফপিওর পরে এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই অনেককে অবাক করেছে। কিন্তু বাজারের আজকের অস্থিরতা বিবেচনা করে, বোর্ড দৃঢ়ভাবে অনুভব করেছে যে এফপিও নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নৈতিক হবে না। তিনি বলেন, আমার কাছে আমার বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ সবচেয়ে বেশি। তাই বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে আমরা এফপিও প্রত্যাহার করেছি। এ সিদ্ধান্ত আমাদের বর্তমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার উপর কোন প্রভাব ফেলবে না।’

এফপিও এর পুরো নাম ফলো-অন পাবলিক অফার। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগকারীদের তহবিল সংগ্রহের প্রস্তাব দেয়। যখনই কোম্পানি বাজারে এফপিও নিয়ে আসে, তখনই এটির জন্য একটি ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করে। যারা ইতিমধ্যে কোম্পানির শেয়ার রয়েছে তারা ছাড়াও নতুন বিনিয়োগকারীরাও এতে বিনিয়োগ করতে পারেন।

হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকে আদানি গ্রুপের শেয়ারের পতন অব্যাহত রয়েছে। রিপোর্ট সামনে আসার আগে গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল প্রায় ১২০ বিলিয়ন। এখন তা কমে হয়েছে ৪৫ বিলিয়ন। সেপ্টেম্বরে, গৌতম আদানি ১৫৫ বিলিয়ন সম্পদের সঙ্গেই বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তির তালিকায় উঠে আসেন। এই পতনের পরে, গৌতম আদানি এখন বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ১৫ নম্বর স্থানে রয়েছেন। যেখানে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি এই তালিকায় ৯ নম্বরে উঠে এসেছেন। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ