Inqilab Logo

মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯, ০৫ রমজান ১৪৪৪ হিজরী

যুবাদের জন্য রাজশাহী, নারী দল খুলনায়

অনুশীলন গ্রাউন্ড

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রায় সারা বছরই ঠাসা সূচিতে ব্যস্ত থাকে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম। জাতীয় দল ও এর আশপাশের কার্যক্রমের কারণে অন্যান্য দলগুলোর অনুশীলন নিয়ে দেখা দেয় জটিলতা। তাই কখনও বিকেএসপি, কখনও মিরপুর একাডেমিতে অল্প সময়ের মধ্যে তাদেরকে সারতে হয় অনুশীলন। এই সমস্যা দূর করতে স্থায়ী সমাধানের পথে হাঁটছে বিসিবি। জাতীয় নারী দল ও ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের জন্য ঢাকার বাইরে করা হচ্ছে অনুশীলনের স্থায়ী ব্যবস্থা। এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বিসিবির গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম।
বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটেই হয় দেশের বেশিরভাগ ক্রিকেট। দেশের ক্রিকেটের পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় এই তিন শহরের বাইরে রাজশাহী, খুলনা ও বরিশালের মাঠ নিয়েও কাজ শুরু করেছে বিসিবি। গতকাল মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই কথা জানান মাহবুব আনাম, ‘আগে শুধু জাতীয় দল ও অনূর্ধ্ব-১৯ দল অনুশীলন করত। এখন অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল হয়েছে, জাতীয় নারী দলের এফটিপি হয়েছে। তাই মাঠ যেমন প্রয়োজন, অনুশীলনের সুবিধাও প্রয়োজন। আগে বলেছিলাম, একেকটা সেন্টার ধরে কাজে হাত দেব। আমি রাজশাহী ঘুরে এসেছি। আমরা এরই মধ্যে সেখানে কাজে হাত দিয়েছি। রাজশাহীতে ইনডোর সুবিধাটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। ওটার মেরামতের কাজে হাত দিয়েছি। চট্টগ্রাম ও সিলেটে আমরা যেভাবে অনুশীলন সুবিধা তৈরি করেছি, একইভাবে আমরা রাজশাহীতে কাজটা করব।’
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে জানুয়ারিতে ক্যাম্প করেছে ছেলেদের অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে তাদের অনুশীলনের জন্য খুলনা নয় বরং রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়াম দেওয়া হবে জানালেন মাহবুব আনাম। পাশাপাশি নারী দলের জন্যও অনুশীলনের স্থায়ী ব্যবস্থা করছে বিসিবি, ‘আমরা আশা করছি এই বর্ষার মধ্যেই রাজশাহীর অনুশীলন সুবিধা প্রস্তুত করব এবং অনূর্ধ্ব-১৯ ছেলেদের জন্য একটা স্থায়ী অনুশীলনের ব্যবস্থা করব। একইভাবে আমাদের সিদ্ধান্ত হয়েছে খুলনাকে আমরা নারী দলের অনুশীলনের জন্য তৈরি করব। আমাদের সার্ভেয়াররা এখন রাজশাহীতে কাজ করছে। রাজশাহীর কাজ শেষ করে তারা খুলনার কাজটা ধরবে।’
খুলনা-রাজশাহীর বাইরে বরিশালের মাঠ নিয়েও আশাবাদী বিসিবি কর্তার, ‘তৃতীয়ত আমরা বরিশালের কাজ ধরব। এনএসসি বরিশালের মাঠের উন্নয়ন কাজ করেছে। আমরা একইসাথে মাঠের বাইরে অনুশীলনের জন্য বাকি যে প্রয়োজনীয়তা রয়েছে সেগুলোর কাজ শুরু করব। এ তিনটা মাঠের কাজই আমরা এই মৌসুমে শুরু করব। আশা করছি এই বছরের মধ্যেই এই তিনটা সুবিধা তিনটা গ্রুপের অনুশীলনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে।’ অনুশীলনের উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করলেও আন্তর্জাতিক কিংবা বিপিএল মানের টুর্নামেন্টের ম্যাচ আয়োজন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মাহবুব আনাম। তাই আগে অন্যান্য পর্যায়ের ক্রিকেট রাজশাহীতে ফেরাতে চান তিনি, ‘ম্যাচ দেওয়ার জন্য কিছু বাড়তি সুযোগ-সুবিধা লাগে। প্রোডাকশন সুবিধা লাগে। রাজশাহীতে আমরা দেখেছি মিডিয়া সেন্টার ও প্রোডাকশনের জায়গা নেই। যেহেতু এটা ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্টের আন্ডারে, আমি হাত দিতে চাচ্ছি না। তবে রাজশাহীতে হোটেল হয়েছে। আমরা শিগগির চেষ্টা করব অনূর্ধ্ব-১৯, ‘এ’ দলের খেলাগুলো রাজশাহীতে ফেরত নিতে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ