পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বেশির ভাগ যুবক বিদেশে পা বাড়াচ্ছে : শ্রমবাজার সম্প্রসারণে নিরলস প্রচেষ্টা চলছে -প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
শামসুল ইসলাম : সরকারের উচ্চ পর্যায়ে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগের পরিপ্রেক্ষিতে জনশক্তি রফতানিতে গতি বাড়ছে। দেশে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবের দরুন সমাজের যুবক শ্রেণী ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়ে এবং ভিটেমাটি ও গবাদিপশু বিক্রি করে বিদেশে পা বাড়াতে বেশি উৎসাহিত হচ্ছে। জনশক্তি রফতানিতে সাফল্যের হাওয়া বইতে শুরু করায় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সুবাতাস বইছে। গত এক বছরে বিভিন্ন দেশে সাড়ে ৭ লাখ পুরুষ-মহিলা কর্মী চাকরি লাভ করেছে। এ সময়ে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ১ লাখ ১৫ হাজার মহিলা গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে। এসব মহিলা গৃহকর্মীকে বিদেশে পাঠিয়ে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো প্রসেসিং ফি বাবদ প্রায় ৯২০ কোটি টাকা আয় করেছে। এসময়ে প্রবাসী মহিলা গৃহকর্মীরা বেতন পেয়ে দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩শ’ কোটি টাকা। জনশক্তি রফতানি খাতে এ রূপ সাফল্য ধরে রাখতে পারলে জাতীয় অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হবে। যদিও বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় রেমিট্যান্সের গতিতে ভাটা পড়েছে। ২০১৫ সালে বিভিন্ন দেশে ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৮৮১ জন নারী-পুরুষ কর্মী চাকরি লাভ করেছিল। এর আগে ২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিভিন্ন দেশে যথাক্রমে ৪ লাখ ৯ হাজার ২৫৩ জন ও ৪ লাখ ২৫ হাজার ৬৮৪ জন নারী-পুরুষ কর্মী চাকরি লাভ করেছে। এদিকে, শ্রমবাজার সম্প্রসারণে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও জাপানে জনশক্তি রফতানির প্রক্রিয়া চলছে। গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি তার দফতরে ইনকিলাবকে একথা বলেন। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, চলতি এক বছরে সাড়ে ৭ লাখের বেশি কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। চলতি বছরের তুলনায় আগামী ২০১৭ সালে বহির্বিশ্বে জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরো বাড়বে বলে প্রবাসী মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রবাসী মন্ত্রী বলেন, নানা প্রতিবন্ধকতা নিরসন এবং বিদেশ গমনেচ্ছুদের সেবা কার্যক্রম জেলা পর্যায়ে সম্প্রসারণ করায় জনশক্তি রফতানিতে উল্লেখযোগ্য হারে গতি বাড়ছে।
গত জুন মাসে সউদী আরবে রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সউদী বাদশাহর সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ থেকে অধিক হারে কর্মী নেয়ার অনুরোধ জানান। এর পর থেকেই সউদীর শ্রমবাজার চাঙ্গা হতে থাকে। দীর্ঘদিন জনশক্তি রফতানি বন্ধ থাকার পর দেশটিতে এখন মহিলা গৃহকর্মীর পাশাপাশি দেদার পুরুষ কর্মীরাও যাচ্ছে। মহিলা গৃহকর্মীর আওতায় বিনা খরচে হারেস (দারোয়ান), মালি, বাসা-বাড়ির ড্রাইভার সউদী আরবে যাচ্ছে। সউদী আরবের বিভিন্ন খাতেও বাংলাদেশী কর্মী যাচ্ছে। গত দেড় মাস যাবৎ ঢাকাস্থ সউদী দূতাবাস কর্তৃপক্ষ চুক্তিবিহীনভাবে ২৫% মহিলা গৃহকর্মী সউদীতে পাঠানোর শর্তারোপ করে অধিকাংশ রিক্রুটিং এজেন্সির সাধারণ পুরুষ কর্মীদের ভিসা দেয়া অঘোষিতভাবে বন্ধ রাখছে। এতে সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এ ব্যাপারে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি অতিসম্প্রতি তার দফতরে সউদী রাষ্ট্রদূতের সহায়তা কামনা করেন। সউদী রাষ্ট্রদূত বিষয়টি নিরসনে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্কট নিরসন না হওয়ায় গত শনিবার বায়রায় এক জরুরি সভায় ২৫% মহিলা গৃহকর্মীর পাসপোর্ট দূতাবাসের বাধ্যতামূলক জমা দেয়ার প্রস্তাব প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়।
সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগের পর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হয়েও হচ্ছে না। দশ সিন্ডিকেট চক্রের অশুভ তৎপরতায় সম্ভাবনাময় মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দুয়ার খুলছে না। যদি চলতি বছর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হতো জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরো দু-এক লাখ বৃদ্ধি পেত। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন) বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক নিয়োগানুমতি দিলেও শেষ পর্যন্ত তা অদৃশ্য শক্তির কারণে ঝুলে রয়েছে। মালয়েশিয়ার বহু নিয়োগদাতা কোম্পানি বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগের লক্ষ্যে লেভি জমা দিয়েও কর্মী নিতে পারছে না। এতে মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে অনীহা প্রকাশ করছে। নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার দশ সিন্ডিকেটের কবল থেকে মুক্ত করতে বায়রার একজন সদস্য চলতি মাসে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে রিট দাখিল করেছেন। হাইকোর্ট এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে। এ নিয়ে জনশক্তি রফতানিকারকদের মাঝে তোলপাড় শুরু হয়েছে। গত শনিবার বায়ার ইসি এক জরুরি সভায়ও বায়রার সাবেক মহাসচিব ও এফবিসিসিআই-এর পরিচালক মনসুর আহমেদ কালাম মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার নিয়ে সিন্ডিকেট চক্রের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিবাদ জানান। ইস্টার্ন বে-বাংলাদেশ রিক্রুটিং এজেন্সির স্বত্বাধিকারী আলহাজ মো: গিয়াস উদ্দিন বাবুল গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, অনলাইন প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানির লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (কেডিএন) গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত হাজার হাজার কর্মী নিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। কেডিএন কর্মী নিয়োগের জন্য লেভি জমা দেয়ার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। আলহাজ গিয়াস উদ্দিন বাবুল বলেন, মালয়েশিয়ায় প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোও বাংলাদেশী কর্মীদের নিয়োগ দিতে বেশি আগ্রহী। তিনি বলেন, মালয়েশিয়ায় অবৈধ প্রবাসী কর্মীরা দালালদের মাধ্যমে বৈধতা লাভের জন্য হাজার হাজার রিংগিট ব্যয় করছে। ফলে তারা দেশে পর্যাপ্ত রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছে না। এতে মালয়েশিয়া থেকে রেমিট্যান্সের গতি হ্রাস পাচ্ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত হবার পথে তারপরও সিন্ডিকেট চক্র শ্রমবাজার একচেটিয়া দখল করতে নানা চক্রান্ত করছে। সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ায় কর্মী প্রেরণের সুযোগ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। মালয়েশিয়ায় স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে জনশক্তি রফতানি করতে হলে বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ দিতে হবে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর জালান কেজি পেন্ডানস্থ এসএনটি ইউনিভারসেল কর্পোরেশন এসডিএন বিএইচডির ম্যানেজিং ডিরেক্টর শহিদুল ইসলাম বাবুল মালয়েশিয়ার ইস্যুকৃত হাজার হাজার নিয়োগানুমতি নিয়ে অহেতুক কালক্ষেপণ করায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ সোর্স কান্ট্রির মর্যাদা লাভ করেছে। একমাত্র বাংলাদেশ বাদে বাকি ১৫টি সোর্স কান্ট্রি থেকেই মালয়েশিয়ার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মী আমদানি করছে। তিনি আরো বলেন, সিদ্ধান্তহীনতার কারণে কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন নতুন কর্মী নিয়োগের অনুমোদনের ফাইল সত্যায়নের জন্য জমা নিচ্ছে না। এতে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু লাখ লাখ কর্মী ও জনশক্তি রফতানিকারকদের মাঝে দিন দিন হতাশা বাড়ছে। প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, হাইকমিশনার শহিদুল ইসলাম ও শ্রম সচিব সাইদুল ইসলামের একমাত্র গাফিলতির দরুন মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার চালু হচ্ছে না। তারা কার স্বার্থে কেডিএন থেকে ইস্যুকৃত নিয়োগানুমতি সত্যায়ন বন্ধ রেখেছে এবং তা নিষ্ট করছে তা তদন্ত করে বিচার করতে হবে। শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, শ্রমবাজার নিয়ে হাইকমিশনার প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সাথে কোনো শেয়ারই করেন না। প্রবাসীদের সুখ-দুঃখের বিষয় জানার কোনো উদ্যোগই হাইকমিশনার নেন না। তিনি বলেন, কুয়ালালামপুরস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনকে কোনো সিন্ডিকেট চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে বসানো হয়নি। মালয়েশিয়ায় স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য প্রবাসী ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জনশক্তি রফতানির সবচেয়ে বড় বাজার সউদী আরবে মহিলা গৃহকর্মী নিয়োগের সংখ্যা সর্বাধিক। নানা সমস্যার কারণে যদিও কিছু কিছু মহিলা গৃহকর্মী স্বল্প সময়ের মধ্যেই দেশে ফিরে আসছে। মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণে সরকার বাছাই প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজা বলেন, বিদেশে প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মদক্ষতা ও একনিষ্ঠার কারণে জনশক্তি রফতানিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হচ্ছে। সরকারের গৃহীত জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধি সংক্রান্ত নীতির কারণেও বিদেশে কর্মী গমনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজারও উন্মুক্তকরণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বিদেশগামী কর্মীদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার সারাদেশের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে (টিটিসি) গতিশীল করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ২৪টি দেশের ২৮টি লেবার উইংকে গতিশীল করার লক্ষ্যে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করে দিয়েছেন। ফলে বিদেশে বাংলাদেশী লেবার উইংগুলো শ্রমবাজারকে চাঙ্গা করে তুলতে ইতোমধ্যেই বিদেশী বিনিয়োগকারী ও জনশক্তি আমদানীকারকদের সাথে দৌড়-ঝাঁপ শুরু করছে। প্রবাসী মন্ত্রীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ অন্যান্য জেলার কর্মসংস্থান অফিসে বিদেশ গমনেচ্ছুদের ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ ছাড়পত্র ইস্যু কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে ঐ অঞ্চলের বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীরা এখন অহেতুক বিড়ম্বনা ও হয়রানির হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন। গত জানুয়ারি থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সউদী আরবে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫২ জন পুরুষ-মহিলা গৃহকর্মী চাকরি লাভ করেছে। একই সময়ে ওমানে ১ লাখ ৮৫ হাজার ২২৯ জন, কাতারে ১ লাখ ১৭ হাজার ৮৫৩ জন, বাহরাইনে ৭০ হাজার ৭১৮ জন, সিঙ্গাপুরে ৫৩ হাজার ৩৭১ জন, কুয়েতে ৩৭ হাজার ৯৪৬ জন, জর্ডানে ২২ হাজার ৫৪৮ জন, মালয়েশিয়ায় ৪০ হাজার ৬০ জন, লেবাননে ১৪ হাজার ৬৯৯ জন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ হাজার ৯২৯ জন কর্মী চাকরি লাভ করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।