Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

নির্বাচনের পরিকল্পনা মিয়ানমার সরকারের

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

মিয়ানমারের জান্তা সরকারের আরো সদস্য এবং প্রথমবার দেশটির জ্বালানি খাতের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্ররা। যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাজ্য এদিন মিয়ানমারের উপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। মঙ্গলবার ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকীতে জান্তা সরকারের উপর নতুন করে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এলো। বার্তা সংস্থা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট এদিন দেশটির ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন, খনি কোম্পানি, জ্বালানি বিষয়ক কর্মকর্তা এবং সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এই প্রথম মিয়ানমার অয়েল অ্যান্ড গ্যাস এন্টারপ্রাইজের (এমওজিই) কর্মকর্তাদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো। অপর এক খবরে বলা হয়, অভ্যুত্থানের দুই বছর পর নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। তবে সেনা শাসনের বৈধতা দিতে এই নির্বাচন বিরোধীদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন বাড়াবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন, সেনা শাসনের আওতায় এই ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। এই ভোটের লক্ষ্য জান্তার ক্ষমতা দখলের ন্যায্যতা প্রমাণ করা। ২০২০ সালের নভেম্বরে অং সান সু চির গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে যে নির্বাচন হয়েছিল, তাকে প্রতারণাপূর্ণ নির্বাচন বলে প্রত্যাখ্যান করেছিল সেনাবাহিনী। এই অজুহাত দেখিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা দখল করেছিল সেনাবাহিনী। পরবর্তীতে সু চিসহ তার দলের অনেক নেতাকর্মীকে কারাবন্দী করা হয়। মিয়ানমারে সরকার বিরোধী দল এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ঘনিষ্ঠ মিত্র রাশিয়া ও চীন নির্বাচনের জন্য চাপ দিয়েছে সামরিক জান্তাকে। সামরিক বাহিনী চলতি বছরের শেষের দিকে নতুন নির্বাচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং-এর সরকার অবশ্য নির্বাচনের জন্য এখনও কোনও তারিখ নির্ধারণ করেনি। তবে গত সপ্তাহে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলিকে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনকে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য অভ্যুত্থান-পরবর্তী বিশৃঙ্খলার বাইরে থাকা জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি এবং ছোট ও আঞ্চলিক দলগুলোকে নির্বাচনে আনার জন্য কাজ করছে সামরিক বাহিনী। রয়টার্স, বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ