‘চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়।’ মহামারীর সময় থেকেই গৌতম আদানির অভাবনীয় উত্থানে যেন ঢাকা পড়ে গিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানিও। তাকে পিছনে ফেলে কেবল ভারত নয়, বিশ্বেরই শীর্ষ ধনীদের তালিকায় উচ্চারিত হচ্ছিল আদানি গ্রুপের কর্তার নাম। কিন্তু এবার তাকে ফের পিছনে ফেলে দিলেন রিলায়েন্স কর্তা আম্বানি। ফোর্বস-রিয়েল টাইম ধনকুবেরদের তালিকায় সবচেয়ে ধনী ভারতীয় হিসেবে স্থান পেলেন তিনি। তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ বর্তমানে মুহূর্তকে ৮৪.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কোটি টাকা।

আসলে একদিকে যেমন আম্বানির সম্পত্তি প্রায় ০.১৯ শতাংশ বেড়েছে, তেমনই অন্যদিকে আদানির সম্পদ একধাক্কায় কমেছে ৪.৬২ শতাংশ। ফলে তাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে আম্বানি ওই তালিকায় ৯ নম্বরে। আদানি রয়েছেন ঠিক তার পিছনেই, ১০ নম্বরে।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের প্রথম থেকেই লাগাতার বাড়তে থাকে আদানির সম্পত্তির পরিমাণ। সেবছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই মুকেশ আম্বানিকে টপকে যান তিনি। এ যেন এক রূপকথার উত্থান। আর এই সাফল্যের পিছনে ছিল তার একরোখা জেদ ও অধ্যবসায়। হিরার ব্যবসায় মন দিতেই রাতারাতি কলেজ ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন আদানি। কিন্তু এই সাফল্যের মাঝে এবার জেগে উঠেছে আশঙ্কার কাঁটা। ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা’-র চাঞ্চল্যকর রিপোর্টের ধাক্কায় তোলপাড় ভারতের শেয়ার বাজার। ক্ষতিগ্রস্ত আদানিদের সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ার। সেই ধাক্কার জেরেই এই পরিস্থিতি।

মহামারীর তিন বছরে আদানিদের শেয়ারের দাম ৮১৯ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ারের দাম বাড়ায় আদানিদের সম্পদও বেড়েছে। এবার হু হু করে পড়তে শুরু করেছে শেয়ার। যদিও আদানি গোষ্ঠীর আরও দাবি, শেয়ার বাজারে তাদের মাত্র সাতটি সংস্থা নথিভুক্ত। তার বাইরেও রয়েছে আদানিদের অসংখ‌্য কোম্পানি। যেসব কোম্পানির ১০০ শতাংশ মালিকানা তাদেরই হাতে। ফলে রাতারাতি সেই সম্পদ উড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। যদি শেষ পর্যন্ত আদানির সংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়ায় তাহলে ফের পরিস্থিতি বদলে যেতে পারে। আবারও বিশ্বের ধনীদের তালিকায় উপরের সারিতে পৌঁছে যাবেন আদানি। সূত্র: এনডিটিভি।