গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বায়ু দূষণ এখন বৈশ্বিক সমস্যায় পরিণত হয়েছে। শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তনে এর মারাত্মক প্রভাবই নয়; পাশাপাশি, এর কারণে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরা। বায়ু দূষণের কারণে শরীরে বাসা বাঁধে বিভিন্ন ধরণের রোগব্যাধি, যা মানব দেহের জন্য হতে পারে হুমকিস্বরূপ। এমনকি ঘটাতে পারে মৃত্যুও। এই বায়ু দূষণে প্রধান ভূমিকা রাখছে মূলত মেগাসিটিগুলোর অবকাঠামো উন্নয়ন, নগরায়ণ, জ্বালানি, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি। কম বয়সী শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ এবং হৃদরোগ, ফুসফুসের রোগ ও অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতায় ভোগা মানুষদের জন্য বায়ু দূষণ এক নীরব ঘাতক। এছাড়া, নির্দিষ্ট কিছু শিল্পখাতে যারা কাজ করেন, তাদের স্বাস্থ্যঝুকি অনেকখানি বাড়িয়ে তুলছে বায়ু দূষণ।
বর্তমানে বিশ্বের অধিকাংশ জায়গাতে বাতাসের গুণগত মান বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গুণমান সীমা অতিক্রম করে, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং এর মধ্যেই বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ শ্বাস নিচ্ছেন। বর্তমানে, ১১৭টি দেশের রেকর্ড সংখ্যক ৬০০০-এরও বেশি শহরে বায়ুর গুণগত মান পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এ শহরগুলোতে মানুষ শ্বাসের সাথে অতিমাত্রায় অতিক্ষুদ্র কণা এবং নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করছে। এর মধ্যে,নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশের মানুষের মাঝে পড়ছে সর্বোচ্চ প্রভাব। এর মধ্যে, এ বছরের জানুয়ারি ২৬ তারিখ সকাল ০৮:৫০ -এ ৩৭২ এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স স্কোর অনুযায়ী বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশের ঢাকা। গণসচেতনতা বাড়াতে এবং নীতিনির্ধারকদের জরুরি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে গণমাধ্যম ক্রমাগতভাবে এই বিষয়টি সামনে আনছে।
বায়ু দূষণের সাথে এ লড়াই ঢাকার জন্য নতুন না। তার ওপরে, চলমান 'শুষ্ক' মৌসুমে বাতাসের মান আরও অস্বাস্থ্যকর হয়ে পড়ছে। আমাদের দেশের বাতাসের মান শীঘ্রই পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম, বরং অবস্থা খারাপের দিকেই যাচ্ছে। তাই, জলবায়ু পরিবর্তন থামানোর উদ্যোগের সাথে তাল মিলিয়ে বায়ু মান নিয়ে সমস্যার মোকাবিলা চালিয়ে যাওয়া অত্যাবশ্যক। এর পাশাপাশি, অবাঞ্চিত কণা থেকে সুরক্ষিত থাকতে বাইরে মাস্ক পরা হতে পারে অত্যন্ত কার্যকর, কারণ এটি বায়ু দূষণ এবং ক্ষতিকারক বায়ুবাহিত সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি থেকে বাঁচাতে ভূমিকা রাখে। বাড়তি কিংবা অফিসের ভেতরের পরিবেশের জন্য দরকার হল কার্যকর ফিল্ট্রেশনের মাধ্যমে বায়ু পরিশোধন। তাই এই সময়ে, অভ্যন্তরীণ বাতাসের গুণমান উন্নত করার জন্য যথাযথ ফিল্ট্রেশন ক্ষমতার এয়ার পিউরিফায়ারের মতো ব্যবস্থার প্রয়োজন ধারাবাহিকভাবে বেড়েই চলছে। বিপজ্জনক বায়ুবাহিত কণা যেমন ধুলো, পলেন এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করতে, এয়ার পিউরিফায়ারগুলো বেশ কয়েকটি ফিল্টারের মাধ্যমে সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর নিশ্চিত করে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, অনেক ব্র্যান্ড অবাঞ্চিত কণা থেকে আপনার বাসা কিংবা অফিসকে রক্ষা করতে সহায়তা করার জন্য উদ্ভাবনী প্রযুক্তি নিয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, স্যামসাং -এর তিনটি এয়ার পিউরিফায়ার মডেল রয়েছে, যা একটি মাল্টি-লেয়ারড পিউরিফিকেশন সিস্টেমের মতো অনন্য বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে বাতাসকে বিশুদ্ধ এবং নিরাপদ রাখে। শুরুতে, এটি বড় ধূলিকণাগুলো নিষ্কাশন করে এবং পরবর্তীতে, একটি সক্রিয় কার্বন ডিওডোরাইজেশন ফিল্টার ক্ষতিকারক গ্যাসগুলো সরিয়ে দেয়। উপরন্তু, আল্ট্রাফাইন ডাস্ট ফিল্টার সহ এইচইপিএ ফিল্টার ০.৩㎛-আকারের ধুলোর ৯৯.৯৭ শতাংশ পর্যন্ত বাতাস থেকে সরিয়ে দেয়। স্মার্ট এয়ার কোয়ালিটি ডিটেকশন এবং ডিসপ্লে এর মাধ্যমে, স্যামসাং এর এয়ার পিউরিফায়ারে আপনি চলমান বায়ু দূষণের মাত্রা আরও সুনির্দিষ্টভাবে জানতে পারবেন। সাথে এতে আছে একটি লেজার পিএম সেন্সর যা ধুলো, এমনকি ১.০㎛-এর কম আকারের কণা, এবং গ্যাসীয় দূষক শনাক্ত করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।