Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যারাডোনার হাত থেকে ট্রফি নিতে না পারার অন্তহীন আক্ষেপ মেসির

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

কাতার বিশ্বকাপ শেষ হয়েছে প্রায় দেড় মাস হতে চললো। এখনও স্মৃতিকাতরতা কাটিয়ে উঠতে পারেনি আর্জেন্টিাইনরা। সেই কাতারে সবচাইতে বড় নামটি বুঝি লিওনেল মেসি। যার ঝলকেই ডিয়াগো ম্যারাডোনার পর ৩৬ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়েছে আলবিসেলেস্তারা। যেই কাতারে আর্জেন্টাইন ভক্তদের বাধভাঙা জোয়ারের মধ্যেও ছিল বড় এক শূন্যতা। গ্যালারিতে যে ছিলেন না ম্যারাডোনা! অন্যলোকে পারি জমানো এই মহানায়কের অনুপস্থিতি প্রবলভাবে অনুভব করেছেন মেসিও। আর্জেন্টিনা অধিনায়কের আক্ষেপ, ম্যারাডোনা দেখে যেতে পারলেন না বিশ্বমঞ্চে দেশের তৃতীয় শিরোপা। তার হাত থেকে নিতে পারলেন না সোনালী ট্রফিটা।
গত দুই বছরে মেসিদের জেতা তিন শিরোপার কোনোটিই দেখতে পারেননি ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর এই ফুটবল জাদুকরের প্রয়াণের পর আর্জেন্টিনা একে একে জিতেছে কোপা আমেরিকা, ফিনালিসিমা ও বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার ম্যাচে গ্যালারিতে থাকত ম্যারাডোনার সপ্রতিভ উপস্থিতি। দলের গোল কিংবা জয় উদযাপনে হয়ে যেতেন খ্যাপাটে, হারে বিমর্ষ। সব ঠিক থাকলে কাতার বিশ্বকাপে তিনি হয়তো থাকতেন মধ্যমণি হয়ে। ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে জেতার পর নেমে আসতেন মাঠে।
মেসিরাও তা-ই চাইতেন। বিশ্বকাপ জেতার পর দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে স্বদেশি সাংবাদিক আন্দি কুসনেতসফকে আর্জেন্টিনা অধিনায়ক বললেন, পূর্বসূরির কাছ থেকেই কাপ নিতে চাইতেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি তা চাইতাম। অন্তত তিনি এই সব দেখতেন, আর্জেন্টিনা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। জাতীয় দলের প্রতি ছিল তার প্রবল ভালোবাসা, তিনি এমন কিছুই চাইতেন। ওই ছবিটা দারুণ হতো। তিনি এবং আরও অনেকে যারা আমাকে ভালোবাসেন এবং আমার ভালো চাইতেন, তারা আমাকে সবকিছুর জন্য শক্তি জুগিয়েছেন। গানটি সারা বিশ্বকে আলোড়িত করেছিল, আর আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল।’
মেসি যে গানের কথা বলেছেন, সেটা কাতার বিশ্বকাপে তাদের ম্যাচে শুনেছে সারা বিশ্ব। জয়ের পর গ্যালারিতে থাকা সমর্থকদের সঙ্গে সতীর্থদের নিয়ে এই মহাতারকা গাইতেন, ‘দ্য ল্যান্ড অব ডিয়াগো অ্যান্ড লিওনেল।’ এই গানের ¯্রষ্টা আর্জেন্টিনার রক ব্যান্ড দল লা মোস্কাৎসে। তাদের জনপ্রিয় গান মুচাচোস যেন ঘরোয়া ফুটবলের গ্যালারিতে হয়ে গেছে অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেসিরা কোপা আমেরিকা জেতার পর সেই গানেরই কথায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়। বলা হয় ম্যারাডোনার আশীর্বাদ, মেসির জাদুকরী ফুটবলে তৃতীয় শিরোপার প্রত্যাশার কথা।
বিশ্বকাপে এই গান যেন মেসিদের দলীয় সঙ্গীতে পরিণত হয়েছিল। মেসি মনে করেন, এর আবেদন ছাড়িয়ে গেছে দেশ-কালের সীমানা, ‘গানটা খুব ভালো। বিশ্বকাপের আগে বলেছিলাম, এই গান আমার খুব পছন্দ হয়েছে। তবে তখন সেটা ভাইরাল হয়নি। ধীরে ধীরে লোকজন এটা আরও বেশি করে গাইতে শুরু করে। সবাই গানের কথাগুলো অনুভব করেছে। শুধু আর্জেন্টাইনরাই নয়, বিশ্বকাপে সবাই আমার সঙ্গে সুর মিলিয়েছে।’

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ