Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবিবাহিত সঙ্গীরাও এখন বেশি সন্তান নিতে পারবে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

চীন ক্রমাগত হ্রাস পাওয়া জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং জন্মহার বাড়ানোয় গুরুত্ব দিয়েছেন। জনসংখ্যার নিম্নহারকে ধীর অথবা স্থগিত করতে সরকার কর বিরতি ও মাতৃস্বাস্থ্যসেবা উন্নত করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিচুয়ান প্রদেশের দম্পতিদের ইচ্ছামতো সন্তান নেয়ার অনুমতি দিতে যাচ্ছে চীন। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুধু দম্পতিই নয়, সিচুয়ান প্রদেশের নীতিমালার পরিবর্তন অনুসারে অবিবাহিত সঙ্গীরাও এখন বেশি সন্তান নিতে পারবে। এর আগে একা নারীর সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা ছিল। ৬০ বছরের মধ্যে গত বছর চীনের জনসংখ্যা সর্বনিম্ন ছিল। কয়েক দশক ধরে চীনে এক সন্তান নীতি ছিল। ২০২১ সালে দম্পতিদের জন্য জাতীয়ভাবে তিন সন্তান নীতি চালু করা হয়। এর আগে ১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করে চীন। ২০১৬ সালে বিতর্কিত এই নীতি বাতিল করে বেইজিং। তবে ২০১৬ সালে এক সন্তান নীতিতে বদল আনলেও চীনে জন্মহার হ্রাস বন্ধ হয়নি। গত বছর প্রথমবারের মতো চীনে মৃত্যুহার জন্মহারকে ছাড়িয়ে যায়। এখন সিচুয়ান প্রদেশে চীনা পরিবারে সন্তান নিতে কোনো সীমা থাকবে না। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই প্রদেশের জনসংখ্যা আট কোটি। চীনে এখনও করোনাজনিত মৃত্যু হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জিরো-করোনা বিধিনিষেধ তুলে দেওয়ার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। জাপানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোও জন্মহার কমে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এসব কারণে তার দেশ সামাজিক দায়িত্ব পালন করতে পারছে না। এছাড়া যেসব নারী বিয়ে ছাড়া সন্তান জন্ম দিতে চান তাদের ‘হুকোও’ নামের একটি সেবা পাওয়ার জন্য বড় অংকের জরিমানা গুনতে হয়। এই হুকোওর মাধ্যমে শিশুরা শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পেয়ে থাকে। আশির দশকে চীনে এক সন্তান নীতি গ্রহণ করা হয়। কেউ যদি এ নীতি ভঙ্গ করতেন তাহলে তাকে পেতে হতো কঠোর শাস্তি। মূলত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এমন বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটি। তবে পরবর্তীতে এটি ভুল প্রমাণিত হয়। আর সেই ভুল বুঝতে পেরে ২০১৬ সালে এই নীতি থেকে সরে আসে চীন। দ্য গার্ডিয়ান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ