Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে হবে... - মতবিনিময় সভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৫:১৬ পিএম

২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন তার ধারাবাহিকতাতেই ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য (ব্যবহার) নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৩ সংশোধনের খসড়া প্রস্তুত করেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। জনগণের দিক থেকে এই খসড়া বিষয়ে যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে তার প্রেক্ষিতে যতো দ্রুত সম্ভব আইনটি সংশোধনের বিষয়ে নীতি-নির্ধারকরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকায় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সমসাময়িক ভাবনা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারসহ কয়েকজন সংসদ সদস্য। জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, এমপি সভায় প্রধান অতিথি হিসেব উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ, এমপি (সিরাজগঞ্জ ০৩); অধ্যাপক ডা. প্রান গোপাল দত্ত, এমপি (কুমিল্লা ০৭); শামসুন নাহার, এমপি (মহিলা আসন ১৩), মো. সাহিদুজ্জামান, এমপি (মেহেরপুর ০২)।

 

মতবিনিময় সভায় মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি- অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীটির মাধ্যমে বাংলাদেশের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আন্তর্জাতিক মানে উন্নিত হবে, কারণ- এর মাধ্যমে মূলত যারা ধূমপান করছেন না তাদের পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি থেকে সুরক্ষা দেয়া এবং কিশোর-তরুণদের ধূমপান শুরু করা থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্বার্থন্বেষি মহল এই সংশোধনীর ফলে অর্থনীতির ক্ষতি হবে- এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন যে, এই সংশোধনী বাস্তবায়িত হলে জনস্বাস্থ্যের ওপর যে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে তার সুফল পাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি।

 

সভার উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে বিভিন্ন তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া দ্রুততর করার আহ্বান জানানো হয়। যেহেতু প্রতিদিন তামাকের কারণে এ দেশে প্রায় ৪৫০ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করছেন, তাই এক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ একান্ত কাম্য বলে তাঁরা দাবি জানান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডেপুটি স্পিকার এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই তামাকমুক্ত করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সুস্থ, সবল তরুণ জনগোষ্ঠির এখানে তামাকের কোন স্থান থাকতে পারে না। প্রত্যেকটি মানুষকে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমাদের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। তাই ভবিষ্যত প্রজন্ম রক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাস করার কোন বিকল্প নেই।

 

অধ্যাপক ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, আইনের পাশাপাশি ব্যাপক গণসচেতনতা ও মোটিভেশন দিয়ে তামাকের বহুল ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। একই সাথে সমস্ত ধরনের নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণায় বিড়ি-সিগারেটসহ তামাকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

 

বিশিষ্ট শ্রমিক নেত্রী শামসুন নাহার বলেন, শ্রমজীবী মানুষদের বড় অংশ ধূমপান করে থাকেন। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা হলে শ্রমজীবী মানুষেরা তামাক ছাড়তে উদ্ধুব্ধ হবেন। ফলে তাদের অর্থনৈতিক সাশ্রয়ও হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ