মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চীনের কঠোর নীতি অপরিবর্তিত রয়েছে। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তাইওয়ান সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিরক্ষা বিলে স্বাক্ষর করেছে। এই বিলে যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সামরিক বিনিময়ের পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ওবামার স্বাক্ষরের ফলে বিলটি কার্যকরী হয়েছে এবং এর ফলে দেশ দুটির মধ্যে সিনিয়র লেভেলে সামরিক কর্মকর্তা পর্যায়ে সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে। উল্লেখ্য স্বশাসিত ভূখ- তাইওয়ানের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান বিশ্বের দ্রুত উদীয়মান অর্থনীতির দেশ চীনের বিরোধ অনেক দিনের। এই বিরোধকে সম্প্রতি আরো একধাপ উসকে দিয়েছে যুক্তরাষ্টের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ফোনালাপ। তিনি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নিরাপত্তা নিয়ে ফোনে কথা বললে চীন প্রচ- ক্ষোভ প্রকাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সাথে টেলিফোনে কথা বলার পর চীন এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির একজন মুখপাত্র পিপলস ডেইলিকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে এবং সামরিক যোগাযোগের বিরোধিতা করে আসছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ট্রাম্প ও সাই এরমধ্যে এই আলোচনা তাইওয়ানের একটি ক্ষুদ্র কৌশল এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতে কোন পরিবর্তন ঘটবে না বলেই তারা আশা করছেন। তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি হলো এক চীন নীতি। আমরা আশা করবো রাজনৈতিক এই ভিত কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও গত চার দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিকভাবে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে। ট্রাম্পের টেলিফোন আলাপের পর হোয়াইট হাউজ বলেছে, এক চীন নীতির ব্যাপারে তারা অটল রয়েছে। চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা শিনহুয়া বলছে, তাইওয়ান ইস্যুতে অত্যন্ত সতর্কতা ও যথাযথভাবে কাজ করার জন্যে চীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যাতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে অপ্রয়োজনীয় কোন সমস্যা তৈরি হতে না পারে। কিন্তু তার আগে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই টেলিফোন আলাপের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে একে তাইওয়ানের একটি ‘নগণ্য কৌশল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।
তাইওয়ানের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছিল ১৯৭৯ সালে। ট্রাম্পের ট্রানজিশন দলের কর্মীরা বলেছেন, নিজেদের মধ্যে ফোনালাপে মি ট্রাম্প এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন দুজনই অর্থনৈতিক রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়ে কথা বলেছেন। এই পদক্ষেপ অবশ্য চীনকে রুষ্ট করতে পারে। কারণ তাইওয়ানকে একটি বিচ্ছিন্নতা-কামী প্রদেশ হিসেবে উল্লেখ করে থাকে চীন। ওই দ্বীপটিকে লক্ষ্য করে চীনের শত শত মিসাইল প্রস্তুত বলে বলা হয় এবং প্রয়োজনে জোর করে এর কর্তৃত্ব নেয়ারও হুমকি রয়েছে চীনের পক্ষ থেকে। সাইকে গত জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের জন্য ট্রাম্প অভিনন্দনও জানান। ৫৯ বছর বয়সী তাইওয়ানের এই প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট তাইপে এবং বেইজিং এর সম্পর্ক বদলানোর বিষয়ে আশাবাদী।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল কমিশন সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। কমিশন আরও বলছে, নিত্যনতুন প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে বর্তমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর হতে পারে । রয়টার্স, নিউজ রিপাবলিক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।