মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গ্রামের ভিতর প্রবেশ করলে নির্জন পরিবেশ। চাষবাসের জমি থেকে শুরু করে দোকানপাট, বাসস্ট্যান্ড সবই রয়েছে জাপানের এই গ্রামে। চারদিকে ভালো করে লক্ষ করলে লোকজনও দেখা যায়। কিন্তু তাদের কাছে গেলেই অন্য দৃশ্য ধরা পড়ে। এ যে মানুষ নয়, বরং মানুষের পোশাক পরে দাঁড়িয়ে থাকা সারি সারি পুতুল। পুতুলে ভরা জাপানের এই গ্রামটির নামও অদ্ভুত। জাপানের ইয়া উপত্যকায় নাগোরো গ্রামের নাম দেয়া হয়েছে স্কেয়ারক্রো গ্রাম। পুতুলগুলো কাকতাড়ুয়ার আকারে তৈরি করা হয়েছে বলেই গ্রামের এমন নাম। শিকোকু দ্বীপপুঞ্জের এই গ্রামের একটি জাপানি নামও রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এই গ্রাম কাকাশি নো সাতো নামে পরিচিত। এই গ্রামে কাকতাড়ুয়ার সংখ্যা দুই শতাধিক। গ্রামবাসীদের মতো প্রতিটি কাকতাড়ুয়ার নাম, লিঙ্গ, বয়স নির্ধারণ করে রেজিস্ট্রিতে লিখে রাখা আছে। এক একটি কাকতাড়ুয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলে মনে হয় তারা যেন জীবন্ত। কেউ টেলিফোনের লাইন ঠিক করছে, কেউ আবার বাসের জন্য অপেক্ষা করছে। কোথাও কোথাও আবার কাকতাড়ুয়ার দলকে আড্ডা মারতেও দেখা যায়। কিন্তু এই কাকতাড়ুয়াদের জীবদ্দশা তিন বছরের বেশি নয়। তিন বছর পার হয়ে গেলেই তাকে গ্রামের বাইরে সরিয়ে দেয়া হয়। তার জায়গায় চলে আসে অন্য এক কাকতাড়ুয়া। তবে জাপানে এমন এক ভুতুড়ে গ্রাম গড়ে ওঠার পেছনে এক নারীর হাত রয়েছে। তার নাম সুকিমি আয়ানো। গ্রামের কাকতাড়ুয়াদের মা হিসেবে তিনি অধিক পরিচিত। নাগোরো গ্রামে জন্ম হলেও পড়াশোনা সূত্রে গ্রাম ছেড়ে বাইরে চলে গিয়েছিলেন সুকিমি। ২০০২ সালে আবার ওই গ্রামে ফিরে আসেন তিনি। কিন্তু গ্রামে আসার পর তিনি হতাশ হয়ে পড়েন। সুকিমির শৈশব কেটেছিল নাগোরো গ্রামে। পরিবহনের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা ছিল না এই গ্রামে। বাস চলাচল করলেও তার সংখ্যা ছিল খুব কম। রেলস্টেশন যেতে হলেও কমপক্ষে এক ঘণ্টা সময় লাগত। সিএনএন ট্রাভেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুকিমি জানান, নাগোরো গ্রামে আগে ৩০০ জন গ্রামবাসী থাকতেন। কিন্তু তিনি যখন ফিরে এলেন, তখন গ্রামে মাত্র ২৭ জন ছিলেন। এই ২৭ জনের মধ্যে যিনি কনিষ্ঠতম, তার বয়স ৫০ বছর। সুকিমি বলেন, ‘নাগোরো গ্রাম ছেড়ে সকলে বাইরে চলে গিয়েছেন। গ্রামটি যেন ফাঁকা ফাঁকা না লাগে, তাই আমি কাকতাড়ুয়া বানাতে শুরু করি।’ সুকিমি তার বাবার আদলে প্রথম কাকতাড়ুয়া বানিয়েছিলেন। কাকের উৎপাত থেকে বাঁচার জন্য তা নিজের বাড়ির জমিতে রেখে দেন তিনি। কিন্তু সুকিমি লক্ষ করেন যে, জমির সামনে দিয়ে যখন কেউ যেতেন, কাকতাড়ুয়াকে দেখে হাত নাড়াতেন। এই দৃশ্য দেখে সুকিমির মাথায় এক অভিনব পরিকল্পনা আসে। তিনি ভাবেন সমস্ত গ্রামেই তার হাতের তৈরি কাকতাড়ুয়া দিয়ে ভরিয়ে দেবেন। সিএনএন, এবিপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।