Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ঢাকাকে খাদে ফেলে রংপুরের তিনে তিন

অবশেষে জ্বললো মেহেদীর ব্যাট

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর চাপ সামলে দেড়শ ছুঁইছুঁই পুঁজি পেল ঢাকা ডমিনেটর্স। এর পেছনে দলটির মূল কারিগর হাফসেঞ্চুরিয়ান উসমান ঘানি। মাঝারি পুঁজি নিয়ে তাদের বোলাররা লড়াই করলেও শেষরক্ষা হলো না। শেখ মেহেদী হাসানের আগ্রাসী ফিফটিতে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল রংপুর রাইডার্স। বিপিএলে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে গতকাল রংপুরের জয়টি ৫ উইকেটের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে ঢাকা। জবাবে ৬ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ১৪৬ রান করে জয় নিশ্চিত করে রংপুর।
অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা শেখ মেহেদী ৭২ রান করেন। ৪৩ বল মোকাবিলায় তিনি মারেন ৬ চার ও ৫ ছক্কা। এছাড়া, বল হাতে তিন ওভারে মাত্র ১৩ রানে ১ উইকেট দখল করেন তিনি। আসরে রংপুরের এটি আট ম্যাচে পঞ্চম জয়। ১০ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে চার নম্বরে। নয় ম্যাচে সপ্তম হারের স্বাদ পাওয়া ঢাকার পয়েন্ট ৪। তাদের অবস্থান সাত দলের পয়েন্ট তালিকার ছয়ে। এবারের বিপিএলের প্রথম পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়ার জোরালো শঙ্কায় রয়েছে তারা।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওমরজাইয়ের তোপে পড়ে ঢাকা। দুই ওপেনার মিজানুর রহমান ও সৌম্য সরকার ফেরেন আগেভাগে। আগের ম্যাচে ফিফটি করা সৌম্যের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ১১ রান। অ্যালেক্স ব্লেককে অফ স্পিনার শেখ মেহেদী ফেরালে পঞ্চম ওভারে ১৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। এরপর ৪১ রানের জুটি গড়েন ঘানি ও মোহাম্মদ মিঠুন। কিন্তু রানের চাকায় দম দিতে পারেননি তারা। ১৫ বলে ১৪ রান করা মিঠুনকে আউট করেন রাকিবুল হাসান। তার বিদায়ের পর নাসির হোসেন জুটি বাঁধেন ঘানির সঙ্গে। তবে রান তোলার গতি বাড়াতে তাদেরও সংগ্রাম করতে হয়।
১৫ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৮৭ রান। এরপর ঘানি হাত খোলায় পরের ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫৭ রান যোগ করে তারা। পেসার হারিস রউফের দুই ওভার থেকেই আসে ৩২ রান। ৪২ বলে ফিফটি পূরণ করা ঘানি অপরাজিত থাকেন ৭৩ রানে। ৫৫ বল মোকাবিলায় ৭ চার ও ৩ ছক্কা মারেন তিনি। রানআউটে কাটা পড়া নাসির করেন ২২ বলে ২৯ রান। রংপুরের সবাই নিয়ন্ত্রিত বল করেন। একমাত্র খরুচে ছিলেন রউফ। চার ওভারে ৪৯ রান খরচায় তিনি থাকেন উইকেটশূন্য। নতুন বলে সুইং পাওয়া ওমরজাই ২৭ রানে নেন ২ উইকেট।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই নাঈম শেখ নেন বিদায়। ৫ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটিতে ধাক্কা সামলে নেয় রংপুর। ক্রিজে আসার পর থেকে শেখ মেহেদী ছিলেন ছন্দে। নিয়মিত বাউন্ডারি আনতে থাকেন তিনি। ফলে পাওয়ার প্লে ভালো কাটে রংপুরের। ৬ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪৮। নবম ওভারে রনি তালুকদার আউট হলে ভাঙে জুটি। ৫ চারে ২৮ বলে ২৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বড় শট খেলতে গিয়ে লং-অনে ক্যাচ দেন তিনি।
অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক টিকতে পারেননি। ঢাকা নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সাজিয়ে তাকে সাজঘরে পাঠায়। পেসার সালমান ইরশাদের বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে থামেন তিনি। একপ্রান্তে শেখ মেহেদীর আগ্রাসন চলতে থাকে। মাত্র ৩১ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। তাকে রেখে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও দ্রুত আউট হলে একশর আগেই ৪ উইকেট পড়ে যায় রংপুরের। শেখ মেহেদী অবশ্য কোনো বিপাকে পড়তে দেননি দলকে। ১৫তম ওভারে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক নাসির হোসেনকে তিনি টানা মারেন ছক্কা ও চার। আল আমিন হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যখন ইতি ঘটে তার ইনিংসের, ততক্ষণে জয়ের সুবাস মিলতে শুরু করে রংপুরের। বাকি কাজটা সারেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই ও মোহাম্মদ নওয়াজ। ৮ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ওমরজাই। ছক্কা মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেয়া নওয়াজের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে অপরাজিত ১৭ রান।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ