Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণ চীন সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি প্রদর্শন

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

বেইজিংয়ের কাছে দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক শক্তি প্রদর্শন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন বলছে, সম্প্রতি এলাকাটিকে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে থাকতে দেখা গেছে। ডজন খানেক যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেমে থেমে বিমানবাহী জাহাজ নিমিটজের ডেক থেকে উড্ডয়ন করছে আবার নামছে। বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ জলসীমা দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক শক্তি প্রদর্শন করছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এমএইচ-৬০ সিহক হেলিকপ্টার এবং এফ/এ-১৮ হরনেট বিমানগুলো বিকট শব্দ করতে করতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির মতো নিমিটজের ওপর অবতরণ করে। সপ্তাহ দুয়েক আগে এসব বিমান দক্ষিণ চীন সাগরের সীমায় প্রবেশ করে। যুক্তরাষ্ট্রের এ বাহিনীর গ্রুপ কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল ক্রিস্টোফার সুইনি বলেন, বিশ্ববাণিজ্যের জন্য অত্যাবশ্যক এ অঞ্চলের জল ও আকাশসীমা। যাতায়াতের স্বাধীনতা বজায় রাখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ সফর করছে মার্কিন বিমানবাহী জাহাজটি। এক সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টোফার সুইনি বলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড ও আইন অনুযায়ী যেখানে অনুমতি মিলবে সেখানেই আমরা জাহাজ চালাব। বিমান উড্ডয়ন করব ও কার্যক্রম চালাব। আমরা এটি নিরাপদে করতে যাচ্ছি। বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি দাবি করেন, এ পদক্ষেপ মূলত জাহাজ চলাচল এবং অঞ্চলটিতে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করার উদ্দেশ্যে। আমরা তাদের স্বাধীন ও উন্মুক্ত বাণিজ্য এবং ইন্দো-প্যাসিফিকের বাণিজ্য নিরাপত্তা দিতে চাই। দক্ষিণ চীন সাগর প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি ডলার বার্ষিক বিশ্ববাণিজ্য রুট। এ অঞ্চলে মার্কিন উপস্থিতিকে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন ও অস্ট্রেলিয়ার মতো বন্ধুরাষ্ট্রগুলো স্বাগত জানিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অযাচিত উপস্থিতিতে আশঙ্কা প্রকাশ করছে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। রাষ্ট্রীয় সীমার কাছে যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের কার্যক্রমকে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ঝুঁকি মনে করছে দেশটি। চীন সমগ্র দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর ঐতিহাসিক অধিকারের দাবি করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ও ফিলিপাইনের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক এমন কার্যক্রমের আগে বেইজিংও এ চর্চা করে আসছে। মূল ভূখ- থেকে দূরের সমুদ্র অঞ্চলে নিয়মিত কোস্টগার্ড ও মাছ ধরার জাহাজের আধিক্য বজায় রেখে আসছে দেশটি। চীনের এমন কার্যক্রম প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করছে। নিমিটজ ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ ১১-তে রয়েছে গাইডেড মিসাইল ক্রুজার বুঙ্কার হিল ও গাইডেড মিসাইল ধ্বংসকারী ডেক্যাচার ওয়েন ই. মেয়ার ও চুং-হুন। ৫ জানুয়ারি চুং-হুন তাইওয়ান চ্যানেল দিয়ে যাত্রা করেছিল যা চীনকে বেশ শঙ্কায় ফেলেছে। ক্রিস্টোফার সুইনি বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এ অঞ্চলে আসার পর থেকে চীনা বা সিঙ্গাপুরের নৌবাহিনী কিংবা ফিলিপাইনের নৌবাহিনীর সঙ্গে একই জলভাগে কাজ করছি। নিরাপদ ও পেশাদারত্বের সঙ্গেই সার্বিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ