গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ভারতে বাংলাদেশী পর্যটক বাড়ছে প্রতিবছর। দেশটির পশ্চিম বঙ্গসহ আশপাশের রাজ্যগুলোতে ব্যবসা ও চিকিৎসা সেবা নির্ভর করে বাংলাদেশীদের ওপরই। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশী পর্যটকদের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে সুযোগ-সুবিধা মিলছে সামান্যই। কেবল ভিসা পেতেই ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। ভিসার জন্য প্রায় প্রতিদিনই থাকছে দীর্ঘ লাইন। সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেককে ফিরে যেতে হচ্ছে পাসপোর্ট জমা না দিয়েই।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভিসা সেবা প্রদানে ন্যূনতম লোকবল দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। আবার যে পরিমান মানুষকে সেবা দেয়ার সক্ষমতা আছে কল করা হচ্ছে তার চেয়ে বেশি মানুষকে। ফলে প্রায় প্রতিদিনই বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ভিসা প্রত্যাশীরা। বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে যারা যাচ্ছেন এবং অসুস্থ মানুষকে নাজেহাল হতে হচ্ছে প্রতিনিয়তই।
যমুনা ফিউচার পার্কে এমনই একজনের সাথে কথা হয়। যার নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি ভারতের সিকিম-গ্যাংটক-দার্জিলিং যেতে চান। এ জন্য দরকার ভ্রমন ভিসা। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে লাইনে দাড়িয়ে থেকেও কাঙ্খিত সাফল্য আসেনি তার। তবে রোববার তিনি আশাবাদী দ্রুত সময় আবেদন জমা দিতে পারবেন।
বোরহান উদ্দিন নামে আরেক ভিসাপ্রার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘প্রায় ৩-৪ হাজার লোকের মধ্যে সিরিয়াল শেষ করে ১৫-১৬ জনের মাথায় বন্ধ করে দিলো। আসলে আমি কপাল পোড়া।
আশরাফুল হাবিব রনক নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, তিনি অসুস্থ বাবাকে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়েছেন কিন্তু লাইন কোনভাবেই এগুচ্ছে না, অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে কিভাবে এতো সময় দাঁড়িয়ে থাকা যায়।
হাবিব বলেন, তাদের প্রতিদিন সেবা দেয়ার যে সক্ষমতা আছে সে পরিমান কল করলেই হয়। সেটি না করে মানুষকে এভাবে ভোগান্তিতে ফেলা কোনভাবেই কাম্য নয়।
ভিসার এই বিড়ম্বনার কথা তুলে ধরে একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, আমরা টাকা দেই, তাদের দেশে গিয়ে ব্যয় করি কিন্তু আমাদের সঙ্গে গরু-ছাগলের মতো আচরণ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।