মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সুইডেনের পর এবার ডেনমার্কে তুর্কি দূতাবাসের বাইরে এবং রাজধানী কোপেনহেগেনের একটি মসজিদের সামনে মুসলিমদের পবিত্র কোরআনের একটি অনুলিপি পোড়ালেন কট্টর ডানপন্থী রাজনৈতিক দল হার্ড লাইনের নেতা রাসমুস পালুদান। এর আগে গত ২১ জানুয়ারি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাসের সামনে পবিত্র কোরআন পোড়ান তিনি।
পালুদান সুইডেন ও ডেনমার্কের যৌথ নাগরিক। গত বছর এপ্রিলে তিনি ঘোষণা দেন, পবিত্র রমজান মাসে তিনি বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পবিত্র কোরআন পোড়াবেন। তার এ ঘোষণায় সুইডেনজুড়ে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল। সেই ঘোষণা মোতাবেক তিনি প্রথমে সুইডেনে, এরপর ডেনমার্কে এ কাÐ ঘটালেন। সুইডেন ন্যাটোতে যোগ না দেয়া পর্যন্ত তিনি প্রতি শুক্রবারেএ কুকর্ম চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। সুইডেন এবং প্রতিবেশী ফিনল্যান্ড তাদের জোটনিরপেক্ষ নীতি থেকে সড়ে যেয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধের মধ্যে ন্যাটোতে যোগ দিতে চাইছে। তাদের যোগদানের জন্য সমস্ত ন্যাটো সদস্যদের কাছ থেকে অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। তবে ন্যাটোর অন্যতম সদস্য তুরস্ক ইঙ্গিত দিয়েছে যে, তারা সুইডেনকে অনুমোদন দেবে না। যার প্রেক্ষিতে পালুদান এমন ঘোষণা দেন।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি বলেছে যে, ডেনিশ রাষ্ট্রদূতকে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল যেখানে তুর্কি কর্মকর্তারা ‘এ উস্কানিমূলক কাজের জন্য দেয়া অনুমতির তীব্র নিন্দা করেছেন যা স্পষ্টভাবে একটি ঘৃণামূলক অপরাধ গঠন করে’। রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়েছিল যে, ‘ডেনমার্কের মনোভাব অগ্রহণযোগ্য’ এবং পবিত্র কোরআন পোড়ানোর অনুমতি অনুমতি প্রত্যাহার করা হবে বলে তুরস্ক আশা করে। গত সপ্তাহে সুইডেনে পালুদানের পদক্ষেপের পর, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান স্টকহোমকে ন্যাটোতে যোগদানের জন্য তুরস্কের সমর্থন আশা না করতে সতর্ক করেছিলেন। তুরস্ক অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাসেলসে একটি মূল বৈঠকও স্থগিত করেছে যেখানে সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের সদস্যপদ নিয়ে আলোচনা হবে।
তুরস্ক ছাড়াও বাংলাদেশ, সউদী আরব, জর্ডান ও কুয়েতের মতো কয়েকটি মুসলিম দেশও সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ইরাক, লেবাননসহ কয়েকটি দেশে এ ঘটনায় বিক্ষোভ হয়েছে। এক বিবৃতিতে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনাকে ‘ইসলামবিদ্বেষী ও ঘৃণিত’ বলে মন্তব্য করেছে ঢাকার সুইডিশ দূতাবাস। সূত্র : আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।