নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
তুমুল সম্ভাবনা নিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখা তাসকিন আহমেদ একটা সময় দিক হারিয়েছিলেন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে দেখছিলেন অন্ধকার আগামী। তবে হাল না ছেড়ে তাসকিন কঠোর পরিশ্রম করে ফেরেন প্রবলভাবে, এখন তো দলের অপরিহার্য তিনি। দিক হারানো খেলোয়াড়দের জন্য তাই তাসকিনকে প্রেরণা মনে করেন নাসির হোসেন।
নাসিরকেও একটা সময় মনে করা হতো বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ভরসা। বল হাতেও জুতসই ভূমিকা রেখে দলের জন্য ভীষণ প্রয়োজনীয় ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের পর আর বাংলাদেশ দলে খেলার সুযোগ পাননি ‘ফিনিশার’ তকমা পাওয়া নাসির। পথ হারানো ক্রিকেটারের তালিকায় নাম উঠিয়ে নাসিরও ঘুরপাক খাচ্ছিলেন ব্যর্থতার চক্রে। গত বছর বিপিএলেই কোনো দলে সুযোগ পাননি নাসির। এবার বিপিএলে ফিরে পান ঢাকা ডমিনেটর্সের নেতৃত্ব। ব্যাট হাতেও তাকে দেখাচ্ছে বেশ ধারাবাহিক। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৫৮.২০ গড়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯১ রান করেছেন নাসির।
আবার ক্যারিয়ারে নতুন উদ্যম পাওয়াটা নাসিরের জন্য স্বাভাবিক। গতকাল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দলের অনুশীলনের আগে তিনি জানান, তাসকিনের কাছ থেকে ফেরার প্রেরণা পান তিনিও, ‘অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে (তাসকিন)। তাসকিনের কথাই বলি, ও যেভাবে কামব্যাক করেছে। জাতীয় দল থেকে বাইর হওয়ার পর যেমন কষ্ট করেছে, আমার মনে হয় সব ক্রিকেটারেরই এই জিনিসটা অনুসরণ করা উচিত। আপনি যদি বাংলাদেশ ক্রিকেট বা নিজে উন্নতি করতে চান, তাহলে এখন যদি দুই ঘণ্টা অনুশীলন করেন, হয়তো সে জায়গায় চার ঘণ্টা অনুশীলন করতে হবে। তাহলে এটা আমার ও বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো হবে। অবশ্যই ওকে অনুসরণ করা উচিত। ও যে কষ্ট করে ও পরিশ্রম করে তার ফল ও পাচ্ছে। জাতীয় দলেও পাচ্ছে, বিপিএলেও আল্লাহর রহমতে ভালো করছে।’
এবার বিপিএলে তলানিতে থাকা ঢাকার হয়েও দারুণ খেলছেন তাসকিন। সর্বশেষ ম্যাচে মাত্র ১০৮ রানের পুঁজি নিয়েও দলকে জয় পাইয়ে নায়ক বনেছেন তিনি। খুলনা টাইগার্সকে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে দিতে ৯ রানে ৪ উইকেট পান তাসকিন। নাসির জানান, যেকোনো অবস্থায় হার না মানা মানসিকতা এগিয়ে রাখে এই পেসারকে, ‘যে পরিস্থিতিতেই খেলুক না কেন, ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিই হোক না কেন ও কখনই এই জিনিসটা ফিল করে না যে আমরা হারতে এসেছি বা হারবো। সবসময় চেষ্টা করে দলকে জেতানোর জন্য। দলকে জেতানোর জন্য একশো ভাগের বেশি এফোর্ট দেয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।