Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আকের গোলে সিটির আর্সেনাল জয়

এফ এ কাপ

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০০ এএম

এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডের সবচেয়ে বড় ম্যাচ নিঃসন্দেহে ছিল এটিই। মাঠের ফুটবলের মান অবশ্য স্পর্শ করতে পারল না প্রত্যাশাকে। শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দিল একটি গোল। নিজেদের মাঠে ম্যানচেস্টার সিটি একমাত্র গোলে হারাল আর্সেনালকে। ম্যাচ জিততে পেরে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা খুশি তো বটেই। তবে তার আনন্দ আরও বেশি, গোলটি নাথান আকে করেছেন বলেও।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চলতি মৌসুমে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে থাকা দুই দল গতপরশু রাতে মুখোমুখি এফএ কাপের লড়াইয়ে। প্রথমার্ধে কোনো দলই খুব ভালো কিছু করতে পারেনি। খেলাও তাই খুব আকর্ষণীয় হয়নি। সিটির আর্লিং হলান্ড দুই দফায় অবশ্য গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন। দুই দফায় গোলের কাছাকাছি যেতে পারে আর্সেনালও। কিন্তু কোনো গোল হয়নি। ম্যাচের ৬৪তম মিনিটে আকে গোল করে এগিয়ে নেন সিটিকে। সেটিই হয়ে থাকে জয়সূচক গোল হিসেবে। গোল হজমের পর আর্সেনালের আক্রমণের ধার বাড়ে একটু। কিন্তু সিটির আঁটসাঁট রক্ষণে তারা চিড় ধরাতে পারেনি।
ম্যাচ শেষে গার্দিওলা স্তুতিতে ভাসান আকের পারফরম্যান্সকে। ২৭ বছর বয়সী এই ডাচ ফুটবলার মূলত ডিফেন্ডার। এই ম্যাচে নিজের আসল কাজ ঠিকঠাক করার পর পাশাপাশি আক্রমণে উঠে দলকে উদ্ধার করা গোলটি করেন তিনি। গার্দিওলা বললেন, ড্রেসিং রুমের সবাই আকের জন্য খুশি, ‘খুবই হাড্ডাহাড্ডি খেলা হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে খেলা তুলনামূলক ভালো হয়েছে। প্রতিপক্ষ অনেক কঠিন ছিল, এটা বুঝতে হবে। লকার রুমে একজনও এমন নেই যে আকের জন্য খুশি হয়নি। সবাই তার গোলে খুশি। আমরা তার গোল নিয়ে যেমন খুশি, তেমনি এই মুহূর্তে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে বিপজ্জনক ফুটবলার সাকাকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে, এতেও আমরা খুবই খুশি। কোচ হিসেবে নাথানের (আকে) মতো ফুটবলারকেই সবাই দলে চায়। জীবনের সবটুকু ভালো তার প্রাপ্য।’
গত সপ্তাহান্তে লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৩-২ গোলে হারানো দল থকে এ দিন ৬টি পরিবর্তন আনে আর্সেনাল। তার পরও তাদের শুরুটাই ছিল বেশি দাপুটে। পরে অবশ্য সেই দাপট আলগা হয়ে যায়। আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার কণ্ঠে স্বাভাবিকভাবেই হতাশার সুর। আরও ভালো কিছু তাদের প্রাপ্য ছিল বলেই মনে করেন কোচ, ‘আমার মনে হয়, এই ম্যাচ থেকে আরও অনেক কিছু আমরা পেতে পারতাম। একটি মুহূর্তই সবকিছু বদলে দিল (গোল)। এই দলের সঙ্গে জয় পাওয়া খুব কঠিন। তবে আমরা প্রায় সমানে সমান লড়াই করেছি। বড় ম্যাচে, বড় মুহূর্তেই পার্থক্য গড়তে হয়। এই ধরনের ম্যাচ ওভাবেই জিততে হয়।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ