Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

স্বৈরাচারী মনোভাবের কারণে গণমাধ্যমের ওপর আঘাত

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:০৫ এএম

নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ করার মাধ্যমে দেশটির সরকার নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছে। ডয়চে ভেলের টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ তে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন অতিথিরা। এ বিষয়ে রাজনীতি বিশ্লেষক রন্তিদেব সেনগুপ্ত জানান, কোনো সরকারের মাঝে যখন স্বৈরাচারী মনোভাব যখন প্রকট হয়ে যায়, তখনই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত আসে। তিনি মনে করেন, তথ্যচিত্রটি নিষিদ্ধ করে ভারত সরকার বোকামির পরিচয় দিয়েছে। রন্তিদেব জানান, যিনি আই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তিনি রাজনৈতিকভাবে পরিপক্ব নয়। ব্যান যদি না করতো, তাহলে এত বিতর্ক হত না। বিদেশমন্ত্রীকে বিবৃতি দিতে হত না। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় সাংবাদিক ও লেখক দীপ্তেন্দ্র রায় চৌধুরী। তিনিও মনে করেন, সরকার এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করে মূর্খতার পরিচয় দিয়েছে। ২০০২ সালে গুজরাটে হিন্দু ও মুসলিম দাঙ্গা হয়। সে সময় এক থেকে দুই হাজার মানুষ মারা যান, যেখানে মুসলিমরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। গুজরাট দাঙ্গার সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তথ্যচিত্রে দাঙ্গার সময় পুলিশের নীরব ভূমিকার জন্য মোদিকে দায়ী করা হয়। দীপেন্দ্র জানান, ভারতে সবসময়ই দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গার সময় পুলিশের ভূমিকাও সবসময় এমন ছিল। ২০০২ সালে ১৯৬৯ সালের মতোই দাঙ্গার হয়েছিল। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে। এটা ভারতবর্ষে অনেকবারই ঘটেছে। রন্তিদেব জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপায়ীর সংশয় হয়েছিল যে গুজরাটে রাজধর্ম পালিত হয়নি। ভারতের মুসলিমরা কতটা নিরাপদে আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে দুই অতিথি জানান, সাধারণ মানুষ বিভক্তি চায় না। রাজনৈতিক ও নানা সুবিধা নিতে সুবিধাবাদী গোষ্ঠী এই দাঙ্গা বাধান। ডিডব্লিউ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ