অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে সামনের মাসগুলোতে ১ হাজার কোটি ডলার অর্থ সহায়তা পেতে যাচ্ছে পাকিস্তান। প্রশ্ন উঠেছে- আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদার এই অনুদানে দেশটি অর্থনৈতিক কষাঘাত থেকে পরিত্রাণ পাবে, নাকি আবারও ঋণ খেলাপি হয়ে বিশ্বে তামাশার খোরাক হয়েই থাকবে।
ইসলাম খবরের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তান তার ২৩তম আইএমএফ কর্মসূচিতে পদক্ষেপ নেওয়ায় দেশটির নেতারা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এটি নিয়ে গর্বও করছেন, যেন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য তারা এই অর্থ চাইছে।
গ্লোবাল ক্রাইসিস রিস্ক রিপোর্টে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আশঙ্কা করছে, পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানগুলো দুই বছরের মধ্যে নিশ্চল হয়ে যাবে। ধনীরা বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাবে এবং দরিদ্ররা দেশের পুঞ্জীভূত ঋণ পরিশোধের জন্য দেশে পড়ে থাকবে। পাকিস্তানের কোষাগারও ইতোমধ্যে খালি হয়ে গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মৃত্যুর মুখে এবং বাকি জাতিকে চরম সংকটে ফেলে দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেবাজ শরীফ জেনেভায় আন্তর্জাতিক দাতাদের সম্মেলনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন- প্রতিটি রুপি বন্যার্তদের জন্য ব্যয় করা হবে; যেন এই অর্থ কোনো না কোনোভাবে জনগণের মধ্যে তার সম্মান আর সুনাম ফিরিয়ে আনবে।
যাহোক, সিন্ধুর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের ধুঁকতে থাকা কৃষকদের জন্য বিশ্বাস করা কঠিন যে, এই সহায়তা তহবিলের এক রুপিও তারা পাবে। ক্ষমতাসীনরা ইতোমধ্যেই এ তহবিলের নামে জনগণকে দলের অনুগত করার চেষ্টা করছে। সেখানে কেবল প্রতিশ্রুতিই দেওয়া হয়েছে, জনগণকে বোকা বানানো হচ্ছে। তারা অলীক স্বপ্ন দেখাচ্ছে জনগণকে। আশা দেখাচ্ছে তিন বছরের মধ্যে সহায়তা দেওয়া হবে।