মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিবিসির তথ্যচিত্র ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ নিয়ে ভারতজুড়ে আলোড়ন চলছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের এই বিতর্কিত তথ্যচিত্র যাতে কোনওভাবেই সাধারণ মানুষের কাছে না পৌঁছে যায়, কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার সেটা নিশ্চিত করতে মরিয়া। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বহু বিতর্কিত ডকুমেন্ট সিরিজ সরকারের রোষানলে পড়েছে। এমনই পাঁচটি ডকুমেন্ট সিরিজে আলোকপাত করা যাক।
ফাইনাল সলিউশন: বিবিসির ‘দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এর অনেক আগে গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ তৈরি করেন পরিচালক রাকেশ শর্মা। নাম ‘ফাইনাল সলিউশন’। ওই তথ্যচিত্রে দেখানো হয় গুজরাট দাঙ্গা বিজেপির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ফসল। তৎকালীন সেন্সর বোর্ডের প্রধান অনুপম খের এই ডকু সিরিজটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়। পরে ২০০৪ সালে কংগ্রেস সরকার আসার পর এই সিরিজটি দেখানোর অনুমতি দেয়া হয়।
ইন্ডিয়া’স ডটার: এর আগে বিবিসির আরও একটি ডকু সিরিজ রীতিমতো আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল ভারত। সেই সিরিজটির নাম ছিল ইন্ডিয়া’স ডটার। ২০১২ সালের নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে এই সিরিজটি তৈরি করে বিবিসি। ২০১৫ সালের এই ডকু ফিচারটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। এই সিরিজে দিল্লি পুলিশকে ভুলভাবে দেখানো হয়েছে বলে মামলা করা হয় পুলিশের তরফেই। সেই মামলাতেই আদালত সিরিজটি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই নিয়ে সংসদও উত্তাল হয়। তখনকার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নায়ডু জানান, এটা ভারতকে বদনাম করার ষড়যন্ত্র।
রাম কে নাম: ভারতের ইতিহাসের সবচেয়ে বিতর্কিত সিরিজগুলির মধ্যে একটি হল ‘রাম কে নাম’। আনন্দ পটবর্ধনের এই ডকু ফিচারটি ১৯৯২ সালে তৈরি। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ কীভাবে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ভেঙে রাম মন্দির তৈরির ‘ষড়যন্ত্র করেছিল’, এই তথ্যচিত্রে সেটাই দেখানো হয়েছে। ধর্মীয় উসকানির অভিযোগে এই ডকু ফিচারটি নিষিদ্ধ করে সরকার।
ইনশাল্লাহ, ফুটবল: অধিকৃত কাশ্মীরের এক স্বাধীনতাকামীর ছেলে ব্রাজিলে গিয়ে ফুটবল খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু পাসপোর্ট পাননি। এই পটভূমিকায় তৈরি ছবি ইনশাল্লাহ, ফুটবল। ২০১০ সালের এই ডকুমেন্টারিটি শুরুতে এ সার্টিফিকেট পেলেও মুক্তির আগের দিন এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বলে দেয়া হয়, এই ছবিতে ভারতীয় সেনাকে ‘ভিলেন’ হিসাবে দেখানো হয়েছে। অশ্বিন কুমার নামের ওই পরিচালক পরে আরও একটি ছবি বানান, যার নাম দেয়া হয় ইনশাল্লাহ, কাশ্মীর। সেটি অনলাইনে মুক্তি পায়।
ক্যালকাটা, ফ্যান্টম ইন্ডিয়া: ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবনে উঁকি মারাটা বিবিসির পুরনো স্বভাব। ১৯৭০ সালেও তারা দুটি সিরিজ বানায় ক্যালকাটা এবং ফ্যান্টম ইন্ডিয়া নামে। যাতে ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবনযাত্রা দেখানো হয়। ভারত সরকারের অভিযোগ, ওই সিরিজগুলিতে ভারতকে নিন্দনীয়ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই দুই ঘটনার জেরে দু’বছরের জন্য বিবিসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। সূত্র: টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।