পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপির কর্মসূচিতে কোনো ধরনের উস্কানি না দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ কথা জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের কর্মসূচিতে কোনো প্রকার বিরতি থাকবে না, বিরতিহীনভাবে আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কর্মসূচি, গণসংযোগ এবং সতর্ক অবস্থানে থাকা, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত, আগুন-সন্ত্রাসের যেসব ঘটনা মাঝে মাঝে দেখা দেয় এসব ঘটনার বিরুদ্ধে আমরা সতর্ক অবস্থানে থাকব। আমাদের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। পাল্টাপাল্টি কোনো বিষয় নয়, ডিসেম্বর থেকে নির্বাচন পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, ২০২২ থেকে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুরোধ করব, এখন সম্মেলন চলে গেছে, মনে হয় একটা গা-ছাড়া ভাব চলে এসেছে। সন্ধ্যা গেলে পার্টি অফিসে আগে তো ঢুকতেই পারতাম না, সব প্রার্থী। এখন মনে হচ্ছে যে, আর তো প্রার্থী নেই সে জন্য একটু গা-ছাড়া ভাব আছে। গা-ঝাড়া দিয়ে উঠুন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাজশাহীর সমাবেশের কথা তুলে ধরে রাজশাহী ছাড়াও সাংগঠনিক কাজে কয়েকটি জেলায় দায়িত্বে থাকা নেতাদের সরব হওয়ার আহŸান জানান তিনি। জেলাপর্যায়ে দায়িত্বে থাকা নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, উপকমিটির চেয়ারম্যান, সদস্য সচিবের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, এগুলো পুনর্গঠন করতে হবে। নতুন করে গঠন করতে হবে। যার যার ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনারা উদ্যোগ নেবেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা বিভাগের দায়িত্বে আছেন, তাদের কাছে আমি অনুরোধ করব- সম্মেলন হয়ে গেছে অনেক দিন, অনেকগুলো সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো জমা হয়নি। আর জমা হলেও সভাপতির (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) নির্দেশে আমি যেগুলো অনুমোদন করি তাকে ফাইনালি আরেকবার দেখাতে হবে। তার আগে আমাদের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তদের আমাকে তো বলতে হবে যে, এই কমিটি ঠিক আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৃহস্পতিবার ২৯টি কমিটি হাতে পেয়েছি, আমাকে আগে জানতে হবে যে বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্তরা কমিটিগুলো দেখেছেন কি-না। দেখলে আমি নেত্রীর কাছে তুলে ধরে অনুমোদন দিতে পারি।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ করে বলেছেন, আপনি কি আল্লাহর ফেরেশতা? আপনি কি করে জানেন আজরাইল কার পেছনে ঘুরছে?
তিনি বলেন, সব আজগুবি খবর, সব নষ্ট রাজনীতি, তারা করে নষ্ট রাজনীতি, ওসব নষ্ট কথা তারাই বলেন। কী ভয়াবহ? এসব রাজনীতিতে এসব কুসংস্কার আছে? যে প্রতিপক্ষকে মেরে ফেলছে। এই রকম ভয়াবহ গুজব ছড়ায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা আজকে পথহারা পথিকের মতো, কী করবে, কী কর্মসূচি দেবে এ নিয়ে ৫৪ দল, ৫৪ পথ, ৫৪ মত। এ দল ছোট হয়ে আসবে বেশি দেরি নয়। ডানে বামে একাকার, এখন অদৃশ্য রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপি চলে। বিএনপির এখন আন্দোলন চলে রিমোট কন্ট্রোলে, অদৃশ্য নির্দেশে। বিদেশিরা কখন সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দেবে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বিদেশিদের উপর তাকিয়ে আছে। জনগণ নেই, পাবলিক নেই, নিষেধাজ্ঞা ও অদৃশ্য নির্দেশ তাদের রাজনীতি। আমরা তাদের দুর্বল ভাবি না। আওয়ামী লীগ বিরোধী সকল শক্তি, কিছু অপশক্তি, আওয়ামী লীগ বিরোধী নিয়ে গঠন করেছে বিএনপির নেতৃত্বে। আমরা আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা নাকি জিয়াউর রহমান, এটা আজগুবি কথা। ফখরুল সাহেব মাঝেমধ্যে উদ্ভট কথা বলেন। জিয়াউর রহমান পারলে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করে দেন। ১৯৭৫ সালের ঘটনা ঘটানোই হয়েছে মুক্তিযুদ্ধকে, আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্যে। তিনি করবেন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা, তাহলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করল কেন? জয় বাংলা নিষিদ্ধ হলো কেন? বাংলাদেশ বেতার, রেডিও বাংলাদেশ হলো কেন? স্বাধীনতার আদর্শ ধ্বংস হলো কেন?
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসতে বারে বারে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। আপনাদের কামনায় আওয়ামী লীগের ধ্বংস করা। অন্তরজ্বালা, শেখ হাসিনার জীবন নিরাপদ নয়, এটা বলে নাকি মহা অন্যায় করে ফেলেছি।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমÐলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর প্রমুখ।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।